নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কৃষ্ণনগর :: শনিবার ১৯,অক্টোবর :: যতই সময় যাচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য এসে উপস্থিত হচ্ছে সামনে। বুধবার কৃষ্ণনগরে আগুনে পোড়া কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধারের পরে পুলিশ দ্রুততার প্রেমিক রাহুলকে গ্রেফতার করে। আর রাহুলকে জেরা করেই সামনে আসছে একের পর এক রহস্য।
রাহুলকে জেরা করে এবং তরুণীর মোবাইল ফোনের সূত্র থেকেই আরও এক তরুণীর খোঁজ পায় পুলিশ৷ ওই তরুণী নিহত ছাত্রী এবং রাহুলের কমন ফ্রেন্ড ছিলেন৷ সেই তরুণীর সঙ্গেই ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল রাহুলের, এমনই ইঙ্গিত পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷
সম্ভবত সেই তরুনীর সঙ্গে রাহুল মঙ্গলবার রানাঘাটে সিনেমা দেখতে গিয়েছিল ৷ তা নিয়েই মৃত তরুণীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের নতুন করে গন্ডগোল শুরু হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ তবে তাদের সম্পর্কের টানা পোড়েন হয়তো এই মৃত্যুর একটা কারণ বলেই পুলিশের অনুমান।
পুলিশ ওই এলাকার বিভিন্ন সি সি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। তারা দেখেছে, মঙ্গলবার অর্থাৎ ঘটনার দিন কৃষ্ণনগর শহরের একাধিক রাস্তায় একা ঘুরে বেরিয়েছিলেন তরুণী। পুলিশ ইতিমধ্যে শহরের একাধিক এলাকার ট্রাফিকের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ছবি সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখছে৷ পাশাপাশি, তরুণী নিজে কোনও দোকান থেকে কেরোসিন কিনেছিলেন কি না, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা৷
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, ওই দিন রাতে ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে কলেজ মাঠের কাছে রাত সাড়ে নটার পর থেকে তরুণীর গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ এদিকে প্রেমিক রাহুল দাবি করেছেন, ঘটনার দিন তাঁর সঙ্গে ওই তরুণীর দেখা হয়নি৷ শুধুমাত্র ফোনে কথা হয়েছে৷ যদিও পুলিশ সূত্রের দাবি, ঘটনার দিন ওই কলেজ মাঠের কাছেই রাহুলের উপস্থিতির প্রমাণও সিসিটিভি ফুটেজে মিলেছে৷ সব মিলিয়ে বিষয়টি কিন্তু এই মুহূর্তে বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।