নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: নয়াদিল্লি :: মর্মান্তিক এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ভারতের প্রথম চিফ অফ স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। অতি সংবেদনশীল এই মৃত্যুর ঘটনা সরকারিভাবে প্রকাশ করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় নেয়া হয় সরকারের তরফে। আর এরই মাঝে বুধবারই সন্ধ্যায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে ৭ লোক কল্যাণ মার্গে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। লক্ষ্য, যত দ্রুত সম্ভব পরবর্তী সিডিএস-এর নিযুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া।বুধবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অতিম শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালরা উপস্থিত ছিলেন। বলা হয়, একদিকে চীনের আগ্রাসন, অন্যদিকে পাকিস্তানের উগ্র কার্যকলাপের মাঝে সিডিএসের অকাল মৃত্যু যে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক বড় ধাক্কা, তা বলাই বাহুল্য। এই আবহে অনেকেই মনে করছেন যে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানেকেই পরবর্তী সিডিএস ঘোষণা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর পর বর্তমানে সবচেয়ে সিনিয়র সামরিক অফিসার হলেন নারাভানে। সরকার যদি সিনিয়রিটির ভিত্তিতেই সিডিএস নিযোগ করে, সেক্ষেত্রে জেনারেল নারাভানেই পরবর্তী সিডিএস হবেন। বাকি দুই বাহিনীর প্রধানরা জেনারেল নারাভানের থেকে দুই বছর ছোট।
এদিকে জেনারেল নারাভানেকে সিডিএস পদে বসানো হলে সেনাপ্রধানের পদটি ফাঁকা হয়ে যাবে। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে জেনারেল নারাভানের পর সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তারা হলেন সেনার উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিপি মহান্তি এবং নর্দার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াইকে যোশী।
তবে এনডিএ সরকার যে সিনিয়রিটির ভিত্তিতেই সেনাপ্রধান বা সিডিএস নিয়োগ করবেন, এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। এর আগে জেনারেল রাওয়াতকে যখন সেনাপ্রধান করা হয়েছিল, তখন তার থেকে দুজন সিনিয়র কর্মকর্তা সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সেক্ষেত্রে এবারো ওই পথে যে সরকার হাঁটবে না, তা হলফ করে বলতে পারছে না কেউ।