আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: রবিবার ২১,ডিসেম্বর :: ২০২৫ সালটি বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক উত্তেজনা ও অর্থনৈতিক চাপের বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, যেটি আগামী ২০২৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানের কারণে আরও জটিল হয়ে উঠছে।
গত কয়েকদিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মর্টালিটি সন্ত্রাস ও বিক্ষোভ বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর এসেছে। ঢাকা, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় সহিংসতা দেখা দিয়েছে — একটি রাজনৈতিক নেতার ঘর আগুনে দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যাতে এক সাহসী শিশুর মৃত্যু হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
সম্প্রতি যুবনেতা শরিফ ওসমান হাদি’র মৃত্যুর পর বিক্ষোভ ফের শুরু হয়েছে, যেখান থেকে সংহতি ও ন্যায়ের দাবি ওঠেছে এবং হাজার হাজার মানুষ তার সমাধি স্থানের পাশে অংশগ্রহণ করেছে — যা রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতীক বলে দেখা হচ্ছে।
এদিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বিচার ও মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত মামলা ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ আন্দোলন ও “লকডাউন” ঘোষণা করেছে, যা সাধারণ জনজীবনে বড় অস্থিরতা তৈরি করেছে।
২০১৯ সালের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠিত সংবিধান ও রাজনৈতিক ভিত্তির পরিবর্তন সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে; কিছু সমালোচক নতুন সংবিধান নিয়ে সাধারণ আলোচনার দাবি তুলেছেন।
মোটকথা, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ, আন্দোলনকারীদের আন্দোলন, এবং নির্বাচন‐সম্পর্কিত দাবির পুনরাবৃত্তি দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি করেছে। আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি ও আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত প্রশ্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে আরও তীব্র করেছে।
অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন ও চাপ
একাধিক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকের মনোভাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে না বরং এক ধরনের “স্ট্যাবিলাইজেশন” বা পুনঃস্থিতিকরণের পথে রয়েছে।
তবে কিছু প্রতিবেদন দাবি করেছে, ২০২৫ সালের প্রথম দিকে বিকাশ কমছে, রেমিট্যান্স কমছে এবং বাজারে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গুগলের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ থেকে ২৭৯টি অনলাইন কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করা হয়েছে, যার একটি অংশ “সরকার-সমালোচনা” বিষয়ক কনটেন্ট সম্পর্কিত ছিলো। এ থেকে বোঝা যায় তথ্যের স্বাধীনতা ও ডিজিটাল প্রকাশের নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাস
দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সমাজে সহিংসতা ও গোষ্ঠী সন্ত্রাসের খবর পাওয়া গেছে — যার ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সম্পর্কে উদ্বেগ রয়েছে।
সমাজের প্রতিক্রিয়া এবং পরিবর্তন
সামাজিক আন্দোলন ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া ও মতামতও বিপুল। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন কারণে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করছে — কোন পক্ষ দেশের পরিস্থিতিকে উন্নতির দিকে দেখে আবার কেউ আবার উদ্বিগ্ন মনে করছেন।

