নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: বুধবার ২২,নভেম্বর :: পাড়ার ছেলেরাই শাড়ি কপালে টিপ পড়ে ঢাক ঢোল সহকারে বাজনা বাজিয়ে যায় জল ভরতে। মালোপাড়া বারোয়ারি এই বিশেষ নিয়ম চলে আসছে বহু যুগান্তর ধরে। পুজোর আগের দিন মাঝ রাতে মেয়েরাই পাড়ার ছেলেদের পড়িয়ে দেন শাড়ি। এরপর ঢাকের বাজনা সহযোগে সেই শাড়ি পরিহিত ছেলেরাই মা জলেশ্বরীর পুজোর জন্য যান জল ভরতে।
জল ভরার সময় রাস্তায় তিন দেবতার মন্দিরে এসে তারা আমন্ত্রণ জানিয়ে যান। এবং সেই আমন্ত্রণের মধ্যে দিয়েই করা হয় মা জলেশ্বরীর পুজোর সূচনা। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে হয়ে আসছে মা জলেশ্বরীর পুজো।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবাড়ির পুজোর পর কৃষ্ণনগরের সবথেকে পুরোনো পুজো মালোপাড়া বারোয়ারির। এই পুজোর বিশেষত্ব অনেক। রাজার থেকে অনুদান পেয়ে শুরু হয় এই পুজো এবং এখনও অনুদান আসে। মা জলেশ্বরী মালো পাড়ার দেবী। ওখানে একটা বিশেষ আকর্ষণ হল, ধুনোপোড়ানো। একজন মানুষের মাথায় ও দুই হাতে ধুনো পোড়ানো হয়। লেলিহান শিখা ছুঁয়ে যায় মন্দিরের ছাদ।
মালো পাড়ার মা জলেশ্বরীর বিসর্জন কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যশালী সাঙ এর দ্বারা হয়না। অর্থাৎ, কাঁধে হয় না। গাড়িতে হয় এবং একমাত্র ওনার সামনে এখনও জ্বলে কার্বাইট গ্যাসের বাতি। এই পুজোয় এখনও ছেলেরাই শাড়ি পরে জল সাজতে যান।