নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: শুক্রবার ৩,মে :: কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় পুলিশের সঙ্গে অভিযোগ করতে গেলেন অভিযোগকারিণী। ২০১৯ সাল থেকেই রাজভবনেই অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন অভিযোগকারিণী। রাজভবনের হোস্টেলে থাকতেন তিনি । ২০২২ সালে রাজ্যপাল হিসেবে মনোনীত হয়ে রাজভবনে আসেন সিভি আনন্দ বোস ।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে দুবার শ্লীলতাহানির কথা স্বীকার হয়েছেন ওই মহিলা । প্রথমবার গত সপ্তাহে এবং দ্বিতীয়বার আজ সন্ধ্যেবেলা । বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা রাজভবনের কর্মী ওই মহিলা রাজভবনের অফিসার ইনচার্জের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান। গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যপাল তাঁকে কু-ইঙ্গিত করছিলেন এবং আজ সন্ধেয় চেম্বারে ডেকে পাঠিয়ে অশালীন আচরণ করেন এবং অভিযোগকারীনির সেই ব্যবহার ভালো লাগেনি বলে অভিযোগ করেন ওই মহিলা।
খবর পেয়ে রাজভবনে পৌঁছয় হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। রাজভবন থেকে অভিযোগকারিণীকে থানায় আনা হয় এবং হেয়ার স্ট্রিট থানায় উপস্থিত হন কলকাতা পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা এবং উল্লেখ্য ডিসি সেন্ট্রাল তিনি নিজে থানায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ওই মহিলাকে। তারপরই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই মহিলা থানায় লিখিত আকারে অভিযোগ দায়ের করেন ।
শুধু শ্লীলতাহানির অভিযোগই নয় তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় অথবা রাজভবনে চাকরি দেওয়া হবে বলেও রাজ্যপাল প্রতিশ্রুতি দেন। রাজভবনের পিস রুমের কর্মীর এই অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ। এবং থানায় যে অভিযোগ দায়ের করা হয় সেই অভিযোগ পত্র সঙ্গে সঙ্গেই লালবাজারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এত বিতর্কের মাঝেই রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করা হলো
রাজ্যের রাজ্যপাল ডঃ সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন রাজভবনেরই এক কর্মী। এই বিষয়ে রাজভবনের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ডঃ সিভি আনন্দ বোস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন :- ‘ সত্যের জয় হবেই। আমি প্রকৌশলী বর্ণনা দ্বারা ভয় পেতে চাইনা। কেউ যদি আমাকে অপমান করে নির্বাচনী সুবিধা চায়, ভগবান তাদের মঙ্গল করবেন। কিন্তু তারা বাংলায় দুর্নীতি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামাতে পারবে না ’ . রাজ্যপালের বিবৃতি, রাজভবন মারফত।