সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: কুলতলী :: সোমবার ১২,জুন :: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের সিপিএমের দলীয় কার্যালয় থেকে সিপিএমের বর্ষিয়ান নেতা সুজন চক্রবর্তী সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, রাজ্যের পুলিশ দিয়ে নির্বাচন করা কোনমতেই সম্ভব নয়। নির্বাচনের দিন ঠিক হয়ে যাওয়ার পর থেকে জেলায় জেলায় অশান্তির ঘটনা উঠে আসছে।
রাজ্য পুলিশ যা প্রতিরোধ করতে সক্ষম নয়। তিনি আরো বলেন গোটা রাজ্যে বুথ সংখ্যা ৬০ হাজার রাজ্যে মোট পুলিশের সংখ্যা ৪২ থেকে ৪৫ হাজার বুথের তুলনায় পুলিশের সংখ্যা অনেকটাই কম। রাজ্য পুলিশ কিভাবে বুথ গুলিতে নিরাপত্তা দেবে। এর জন্য দায় নির্বাচন কমিশনের ।
রাজ্য পুলিশ বিশেষ একটি দলের হয়ে কাজ করছে তা বিগত কয়েকটি ঘটনায় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি আজ ভাঙ্গরের ঘটনায় তিনি বলেন, আইএসএফ কেন মনোনয়নপত্র তুলবে আইএসের প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করে একটি সরকারি কর্মচারীকে মারধর করা হয়। সরকারি কর্মচারীকে মেরে তার নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
রাজ্য পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছে। বিরোধীদের কোনভাবে আটকাতে পারছে না রাজ্যের শাসক দল তাই পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন তৃণমূল ও রাজ্য পুলিশ যৌথভাবে বিরোধীদের নমিনেশন ফাইল করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে আজ তার ফলস্বরূপ বিরোধীদের আটকাতে না পারলে সরকারি কর্মচারীদের কেও আঘাত করতে হচ্ছে।
এর পাশাপাশি কুনাল ঘোষের মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, কুনাল ঘোষের কথা যত কম বলা হয় ততই ভালো রাজ্যপাল ও রাজ্যের পুলিশকে তিনি অসম্মান করছেন এর পাশাপাশি সংবিধানকেও অসম্মান করছেন তিনি।
এছাড়াও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কেউ নিয়ে তিনি কটাক্ষ করে বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি কোম্পানির কর্মচারীর কুড়িটা সম্পত্তি হয় তাহলে মালিকের কত।
কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে তিনি বলেন উনি কালীঘাটের কাকু নয়। উনি হচ্ছে কালীঘাটের ডাকু। ওনার মালিক অভিষেক। সিপিএমের বর্ষিয়ান নেতার মন্তব্যে আগামী দিনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের যে উত্তাপ রয়েছে সেই উত্তাপ যেন আরো একধাপ বেড়ে গেল।