রাজ্যে বিভিন্ন জেলাকে পিছনে ফেলে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হলো জৈব গ্রাম

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: রায়দিঘী :: শনিবার ১,নভেম্বর :: রাজ্যের অন্যান্য জেলাকে পেছনে ফেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মথরাপুর দু’নম্বর ব্লকের রায়দিঘি বিধানসভার নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা কনকন দিঘীগ্রাম রুপান্তরিত  হলো জৈবগ্রামে।

যেখানে প্রায় ৩ হাজার পরিবারের মধ্যেই প্রায় ৯০% পরিবার রাসায়নিক সার ও ঔষুধ বিসর্জন দিয়ে জৈব সার দিয়ে তৈরি ফসল খেয়ে সুস্থ সাবলীল ভাবেই জীবন যাপন করছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত হয়ে বাড়ি বাড়ি তৈরি হচ্ছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার ।এমনকি গাছের রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণে সুসংহত পদ্ধতি মেনে বিভিন্ন জৈব পদ্ধতিতে গাছ গাছড়া দিয়ে তৈরি হয়েছে জৈব ঔষধ। যা ব্যবহার করে রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য লাভ করেছে এলাকার চাষিরা।

প্রায় প্রতিটি পরিবারের মধ্যে চাষ হচ্ছে জমিতে মিশ্র ফসল। যেখানে একটি বাগানে একই সঙ্গে চাষ হচ্ছে ফল গাছ থেকে শুরু করেই বিভিন্ন ধরনের সবজি ।

মিশ্র ফসল দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্প মেয়াদী ফসল। একই জমিতে লাগানো হয়েছে জামরুল , আম সহ বিভিন্ন ফলের গাছ । যা আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে ।

আর সেই গাছের চতুর্দিকেই লাগানো হয়েছে শশা , লাউ , কুমড়ো ও বিভিন্ন শাক সবজি। লাউ , শশার জন্য জাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাচা । কুমড়ো গাছ নিচে ফলন দিচ্ছে ।

পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শাকের চাষ করা হচ্ছে। মাঝখানে বসানো হচ্ছে লিচু গাছ যা প্রায় চার বছরের মধ্যে ফলন দেবে । প্রত্যেকটি চাষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে ভার্মি কম্পোস্ট বা নিজেদের তৈরি কেঁচো সার।

বাগানে মাটির তলাতে করা হচ্ছে ইরিগেশন পদ্ধতি। যেখানে মাটির তলায় রয়েছে পাইপ বিছানো । যার ফলে অল্প জল একই জায়গা থেকে মেশিনের সাহায্যের বাগানে চতুর্দিকে গাছের গোড়া তে ছড়িয়ে যাচ্ছে।

মুক্তি নামক সংস্থার উদ্যোগে মিশ্র চাষের প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত হয়েছে এলাকার বহু চাষি। যাদের সাহায্য পেয়ে এলাকার প্রায় তিন হাজার পরিবারের মধ্যে ৯০% পরিবার আজ জৈব ফসল নিজেরা যেমন খাচ্ছে তেমনি অতিরিক্ত ফসল বিক্রয় করে রোজগারের মুখ দেখেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + thirteen =