রাজ্য সরকার বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষদের দেওয়া হয় একটি করে কিটস বেআইনিভাবে পাচার করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলল গ্রামবাসীরা ।

সুদেষ্ণা মন্ডল  :: সংবাদ প্রবাহ :: জয়নগর  :: শনিবার ২২,সেপ্টেম্বর :: দুস্থ মানুষদের সাহায্যের জন্য রাজ্য সরকার বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষদের দেওয়া হয় একটি করে কিটস। এই কিটসের মধ্যে ছিল রান্নার বিভিন্ন সরঞ্জাম। তিন বছর পর সেই কিটস বেআইনিভাবে পাচার করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলল    গ্রামবাসীরা ।

গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কয়েকশো কিটস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত হাচিমপুরে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , শুক্রবার দুপুরে হাচিমপুরে একটি গোডাউন থেকে বেশ কয়েকটি মোটর ভ্যান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিপর্যয়ের দুর্গত মানুষের সাহায্যর কিটস নিয়ে যাচ্ছে।

এরপর সাধারণ মানুষ কৌতূহল বসত মোটর ভ্যানকে আটকায় । চালককে জিজ্ঞাসা করে যে এই ত্রাণ কোথায় যাচ্ছে। সেই সময় সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়ে মোটর ভ্যান চালক বলে এই গোডাউন থেকে আরেকটি গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ জিজ্ঞাসা করে যে কার গোডাউনে এত ত্রাণ সামগ্রী ছিল। তখন মোটর ভ্যান চালক বলে বহুড়ু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান মুজিবর রহমান নস্করের গোডাউনে ।

এরপর শুরু হয় রাজনৈতিক জল্পনা সাধারণ মানুষের দাবী সরকারি সাহায্যের ত্রান সামগ্রি সাধারণ মানুষকে না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান। সুযোগ বুঝে সেই সামগ্রি পাচারের সময় সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে এবং সাধারণ মানুষ সেই ত্রাণ সামগ্রির গাড়ি আটকায়।

সম্প্রতি শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন । পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়নগর ১- নম্বর ব্লকের বহুড়ু গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয় শাসকদলের। এই পঞ্চায়েত দখল নেয় নির্দল ও বিজেপির জোট। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানায়, পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে শাসকদলের । এর ফলে শাসকদলের প্রাক্তন উপপ্রধান পঞ্চায়েতের বিভিন্ন সামগ্রি সরানোর চেষ্টা করছে ।

যা তারা এত বছর ধরে নিজেরাই গচ্ছিত রেখেছিল নিজেদের কাছে আত্মসাৎ করার জন্য । তা এদিন অন্য জায়গায় পাচারের সময় ধরা পড়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে বর্তমান পঞ্চায়েতের প্রধান মতিউর রহমান নস্কর তিনি বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় বুলবুল , আমফান হয়ে গিয়েছে, বহু বছর আগে। সাধারণ মানুষের সাহায্যের জন্য সরকারি যে সকল ত্রাণ সামগ্রী এসেছিল সেই সকল ত্রাণ সামগ্রি এত বছর পর কেন বার হচ্ছে।

তাহলে কি সাধারণ মানুষকে সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত রেখে নিজেদের কাছেই এই সকল সরকারি সাহায্যে জিনিসপত্র রেখে দিয়েছিল পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান উপপ্রধান। সাধারণ মানুষ প্রাক্তন পঞ্চায়েতের প্রধান – উপপ্রধানের যে দুর্নীতি সেই দুর্নীতি ধরে ফেলেছে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে জয়নগর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − three =