নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কোচবিহার :: রবিবার ৩১,আগস্ট :: রাজ আমলের ঐতিহ্যে মেনেই রাধা অষ্টমীতে অনুষ্ঠিত হলো কোচবিহার ঐতিহ্যবাহী বড় দেবীর পূজা । নিয়ম মেনে রবিবার ভোর রাতে মদনমোহন বাড়ি থেকে মাতৃরুপি ময়না কাঠকে কোচবিহার বড় দেবী বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
নিয়ম মেনে মদনমোহন মন্দির থেকে ঠিক সাড়ে ৯ টা নাগাদ মদনমোহন মন্দির থেকে বিশেষ হনুমান দন্ডকে বড় দেবী মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। এরপর নিয়ম মেনে ময়না কাঠের মহাস্নান ও বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয় । বিশেষ পূজার পর ময়না কাঠকে ট্রলির উপর স্থাপন করা হয়।
রাধা অষ্টমীর দিনে বিশেষ পুজো ও পায়রা বলির পর তিনদিন ধরে কাঠামোকে হাওয়া করা হবে এবং এরপর বংশ পরম্পরায় কোচবিহার দেবত্র ট্রাস্টবোর্ডের মূর্তি প্রস্তুতকারক
চিত্রকর পরিবারের সদস্য প্রভাত চিত্রকর নাটাবাড়ি চামটা থেকে নিয়ে আসা মাটি ও খড় দিয়ে মূর্তির কাজ শুরু করবে এবং তা মহালয়ার দিন শেষ করা হবে । মহালয়ার দিনই মায়ের চক্ষুদান করা হবে । এরপর বড় দেবীর বিশেষ পুজো শুরু হবে ।
ময়না কাঠ টির উপর তৈরি হয় মায়ের মূর্তি । শ্রাবণের শুক্লা অষ্টমীতে গুঞ্জবাড়ি ডাঙ্গরাই মন্দিরে ময়না কাঠের পূজার পর সেই দিনই সন্ধ্যায় রাজ পরিবারের দুয়ার বক্সী, অজয় কুমার দে বক্সীর বাদ্যযন্ত্র সহকারে মাতৃরূপী ময়না কাঠটিকে কাপড় পরিয়ে, সুন্দর ভাবে সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় মদনমোহন বাড়িতে।
তিনদিন তাতে হাওয়া লাগানোর পর চূড়ান্তভাবে শুরু হয় এই মৃন্ময়ী মূর্তি নির্মাণের কাজ। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি ।
জেলার প্রায় সকলেরই জানা বড়দেবীর মৃন্ময়ী মূর্তি, দেবী দুর্গার অন্যান্য মূর্তি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই বড় দেবীর গায়ের রং লাল, এখানে বড় দেবীর বাহন সিংহ নয় বাঘ এবং বড় দেবীর সাথে থাকেন জয়া এবং বিজয়া।
কোচবিহারের মহারাজাদের স্বপ্নাদেশের ভিত্তিতেই দেবী দুর্গার এই বড় দেবী রূপ ৫০০ বছর ধরে ঐতিহ্যের সাথে পূজিত হয়ে আসছেন কোচবিহারে।