নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: তারাপীঠ :: শনিবার ৩১,আগস্ট :: রাত পোহালেই রবিবার ভাদ্র মাসের কৌশিক আমাবস্যা।আর তার আগেই বড় চমক থাকছে তারাপীঠে আগত পর্যটকদের জন্য।বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় নিজে জানিয়েছেন দ্বারকা নদীর পাশে প্রত্যেকদিন হবে সন্ধ্যা আরতি।
তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পরিষদের অফিসে এই নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় প্রশাসনিক কর্তাদের। পূর্ণার্থীদের মতে এই আরতির মধ্য দিয়ে তারাপীঠের মতো পর্যটন কেন্দ্র নতুন পালকের সংযোজন হবে একটি। এই আরতী শুরু হলে তারাপীঠে পর্যটকদের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
মূলত তারাপীঠে আগত পর্যটকরা মন্দির আটলা মোড় এবং বীরচন্দ্রপুর ছাড়া দেখার মত তেমন কোন জায়গা পেতেন না এতদিন। ফলে এই তিনটি জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর পরেই হোটেল বন্দি হয়ে থাকতে হতো পর্যটকদের। পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে দ্বারকা নদীর পশ্চিম দিকে প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচা করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে নদীর পাড়।
টাইলস দিয়ে রাস্তা ছাড়াও নিরিবিলি পরিবেশে বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইখানে বসে মন্দির,শ্মশান দেখার পরেও সুন্দর পরিবেশ চাক্ষুষ করা যায়। রং বেরঙের ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।দ্বারকার পাড়ের এই সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।এবার সেই পাড়েই আরতির প্রস্তাব দিয়েছেন জেলাশাসক।
সেই মতো বাস্তব রূপ দিতে তৎপরতা শুরু করেছে টিআরডিএ।বারাণসীর মতো দ্বারকাবক্ষে বোটে করে আরতি দর্শন করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা।সন্ধ্যায় দেবীর আরতির সঙ্গেই পঞ্চপ্রদীপ হাতে তারাপীঠের সেবাইতরা এখানে আরতি করবেন