নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: চুঁচুড়া :: রান্না ঘরের জ্বালানির দামে ভয়াবহ আগুন। তাই টেনে-হিঁচড়ে গ্যাস সিলিন্ডার রাস্তায় বের করে আনলো মহিলারাই। যা ভয়ানক পরিস্থিতি তাতে এলপিজি সিলিন্ডার আর রান্না ঘরে ঢোকানো যাবে না।
ফলে বাপ-ঠাকুরদার আমলে ফিরে যাওয়াই ভালো। গোটা এলাকাবাসীই পুরনো আমলে ফিরে গেলেন। রাস্তায় মাটির উঁনুনে কাঠ জ্বালিয়ে রান্না করলেন কমবেশী ৩০জন মহিলা।
ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার ১৫নম্বর ওয়ার্ডের পেয়ারাবাগান রেশন গলি এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য আর সম্ভব নয়। সরাসরি হাজার পার করলো গার্হস্থ্যের এলপিজি। ফলে এই সিলিন্ডার রান্না ঘরে থাকা মানেই ভয়াবহ আগুন লাগার ভয়।
প্রসঙ্গত ১৪.২ কেজির ভর্তুকি যুক্ত রান্নার গ্যাসের দাম এক লাফে ৫০টাকা বেড়ে এক হাজার ২৬টাকা হয়েছে।
এই এলাকার মহিলা পুষ্পা দাস বলেন রেশনে কেরোসিন ৮৫টাকা লিটার। গুলের দামও আকাশ ছোঁয়া। সেজন্যই আমরা গ্যাস সিলিন্ডার ত্যাগ করে কুড়িয়ে পাওয়া কাঠের জ্বালে রান্না করে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এলাকার আর এক মহিলা অসীমা নাগ বলেন কেন্দ্রীয় সরকার ফ্রি-তে উজ্জ্বলা গ্যাস দিয়েছে এখন তার দাম তুলছে। কাঠের জ্বালে শরীর খারাপ হলেও কিছু করার নেই। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।গ্যাসের যা দাম তাতে এভাবেই রান্না করতে হবে। কোন পতাকা ছাড়া সাধারন মহিলাদের এহেন প্রতিবাদের কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ দত্ত (বটা)।
তিনি বলেন সাধারনের পেটে লাথি মারার চক্রান্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই সাধারন গৃহবধুরাই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে।আপনাদের সেলাম ।