নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: রায়গঞ্জ :: রবিবার ১০,আগস্ট :: শনিবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ রেলস্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে। ঘটনার পর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত সেনাকর্মী সহ পনেরোজন অজ্ঞাতপরিচয় তরুণের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা করেছে জিআরপি।
এই ব্যাপারে ডালখোলা জিআরপি’র আইসি রাকেশ গুপ্তা বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’রায়গঞ্জ স্টেশন জিআরপির অফিসার ইনচার্জ বাচ্চু হাঁসদা বলেন, ‘ওই সেনাকর্মী চলন্ত ট্রেন থেকে বারবার ওঠানামা করছিলেন সেই বিষয়ে সচেতন করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ অফিসার সহ পাঁচ কর্মীকে মারধর করা হয়।
বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা এসে লকআপ খুলে সেনাকর্মীকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সুয়োমোটো মামলা রুজু করেছি।’
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে কাটিহারগামী ট্রেনে পরিবারের সদস্যদের ট্রেনে তুলে দিতে এসেছিলেন ওই সেনাকর্মী। চলন্ত ট্রেন থেকে বারবার ওঠানামা করছিলেন বলে অভিযোগ। ট্রেনটি চলে যাওয়ার পর ওই সেনাকর্মীকে ডেকে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে দুই পুলিশ অফিসার সহ পাঁচজন বিষয়টি নিয়ে সচেতন করছিলেন।
তাঁদের বক্তব্য, ট্রেনে ওঠানামা করতে গিয়ে সম্প্রতি পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন রয়েছে রায়গঞ্জ থানার মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার, একজন পুলিশকর্মী, তিনজন সিভিলিয়ান।
এই বিষয়টি বোঝাতে গেলে ওই সেনাকর্মী খেপে যান বলে অভিযোগ। পুলিশ অফিসার ও কর্মীদের মারধর শুধু করেন বলে অভিযোগ। এক পুলিশ অফিসারের নেমপ্লেটও ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ।
এরপরেই অভিযুক্ত সেনাকর্মীকে জিআরপির লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়। লকআপে ঢোকানোর পরেই সেখানে ওই সেনাকর্মী তাণ্ডব চালান বলে অভিযোগ।
নিজের জামা, গেঞ্জি ছিঁড়ে জিআরপির উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন। ওই সেনাকর্মীর কাছ থেকে তাঁর পরিবারের ফোন নম্বর নিয়ে ফোন করলে একদল দুষ্কৃতী জিআরপি অফিসে এসে হাজির হয়। পুলিশ অফিসার ও কর্মীদের মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ।
সংখ্যায় বেশি থাকায় পুলিশকর্মীরা কার্যত পিছু হঠেন। এরপর লকআপ খুলে অভিযুক্ত সেনাকর্মী প্রেমানন্দ মাহাতো ওরফে পবন মাহাতোকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় তারা। ভাঙচুর করা হয় জিআরপি অফিসের চেয়ার–টেবিল সহ একাধিক আসবাবপত্র। পুলিশ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ।