নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: মঙ্গলবার ৩,জুন :: এ এক আজব নেশায় পেয়েছে পূর্বস্থলীর সনৎ কুমার মন্ডলকে। বিগত ১০ বছর ধরে এই কাজ করে চলেছেন পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা সনৎ কুমার মন্ডল। সনৎ বাবুর কাছে আসলে টাকা-পয়সা এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ মূল্যহীন। তিনি কাজ করেন শুধুমাত্র সমাজের জন্য।
সমাজকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যেন তাঁর একমাত্র কর্তব্য। যখন ঠিকভাবে দিনের আলো ফোটেনা, সবাই যে সময় ঘুমিয়ে থাকে ঠিক তখনই বাড়ি থেকে রাস্তা পরিষ্কারের উদ্যেশ্যে বেরিয়ে পড়েন সনৎ বাবু।
রোজ ভোর তিনটে বাজলেই কাজ শুরু করেন তিনি। পূর্বস্থলীর চুপি পাখিরালয় থেকে পারুলিয়া পর্যন্ত প্রায় কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ধাপে ধাপে পরিষ্কার করেন। মন্দির, মসজিদ, পার্টি অফিস, রাস্তা কোন কিছুই বাদ পড়েনা।
এই প্রসঙ্গে সনৎ কুমার মণ্ডল বলেন, “আমি একটা ব্যবসা করি আর ব্যবসা মানেই সব সময় বসে থাকা। বসে থাকলেই রোগ হবে। তাই আমি চিন্তাভাবনা করলাম, এমন একটা কাজ করব যেটা এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবথেকে বেশি প্রয়োজন। আমার নিজের হাঁটাচলাও হবে আবার পরিবেশের কাজও করতে পারব।
কারণ পরিবেশ পরিষ্কার রাখা এখন সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই চিন্তাভাবনা নিয়েই আমি কাজ শুরু করেছি।” পূর্বস্থলী দুই ব্লকের ধারাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সনৎ কুমার মণ্ডল। বাবা, মা, স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং ভাইয়ের স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভরা সংসার সনৎ এর। তাঁর নিজের একটা ছোট্টো কাঁসা পিতল, ফার্নিচার এবং হার্ডওয়্যারের দোকান রয়েছে।
এই দোকানই তাঁর রুজি রুটির একমাত্র ভরসা। তবে ব্যবসা সামলানোর পাশাপাশি তিনি ভালবেসে এই কাজ করেন। ভোর হলেই স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রাস্তা পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে। সঙ্গে থাকে দুটো বড় ঝাঁটা, হাতে গ্লাভস এবং মুখে বাঁধা থাকে কালো মাস্ক।