রুক্ষকই ভক্ষক! সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেআইনিভাবে নদীর চর থেকে কাটা হচ্ছে ম্যানগ্রোভ

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সাগর :: বুধবার ১৪,মে :: লাগাতার সরকারি প্রচারের পাশাপাশি বন দফতরের কড়া নজরদারি রয়েছে। কিন্তু সে সবের পরেও রক্ষা পাচ্ছে না সুন্দরবন। ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। কেটে ফেলা হচ্ছে বিঘের পর বিঘে জমির গাছ।

বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার মানুষদের বুক চিতিয়ে রক্ষা করে আসছে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ। ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে তৈরি করা হচ্ছে কংক্রিট এর বাড়ি ও পুকুর। রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বাঁচানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন ।

সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলোতে রাজ্য সরকার ও বনদপ্তরের পক্ষ থেকে ম্যানগ্রোভ লাগানো হচ্ছে । কিন্তু বনদপ্তর ও রাজ্য সরকারের নজর এড়িয়ে নির্বিচারে ধংস হচ্ছে ম্যানগ্রোভ।সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেআইনিভাবে নদীর চরে ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে কংক্রিটের বাড়ি নির্মাণ ও পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে রাজ্য পুলিশের এক হোমগার্ডের বিরুদ্ধে।

মূলত আইনের রুক্ষকই নিজের স্বার্থে নির্বিচারে কাটছে ম্যানগ্রোভ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত গঙ্গাসাগরের বঙ্কিমনগর এর চেমাগুড়ি বাজার সংলগ্ন বটতলা নদীর চর থেকে রাজ্য পুলিশের এক হোমগার্ড ম্যানগ্রোভ কেটে তৈরি করছে নিজের বাড়ি এবং পুকুর।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ পুলিশ কর্মীকে এই ম্যানগ্রোভ নিধন কর্মযজ্ঞের থেকে বিরত রাখার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো রকম সুরাহা হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এই ম্যানগ্রোভ নিধন কর্মযজ্ঞে শামিল বারুইপুর জেলা পুলিশের হোমগার্ড তপন মাইতি। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর চর থেকে বেআইনিভাবে ম্যানগ্রোভ কাটার জন্য তপন মাইতি কে বারবার বাধা দিয়েছে এলাকাবাসীরা

কিন্তু তপন মাইতি এলাকাবাসীদের কোন বাধাকে তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন নদীর চর থেকে ম্যানগ্রোভ কেটে নিয়ে তৈরি করছে বাড়ি এবং পুকুর।

অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থারও আশ্বাস দিয়েছেন গঙ্গাসাগর বকখালি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ পাত্র। এবার দেখার বিষয় কত দ্রুত পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন এই ম্যানগ্রোভ নিধন কর্মযজ্ঞ আটকানোর জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 7 =