আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদ প্রবাহ টিভি :: ২১শে জানুয়ারি :: চন্দননগর ::
গোলি মারো বেসরকারি সূত্রের খবর গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর ও অর্জুন সিঙ্গার রোড শো চলাকালীন বিজেপির যুব নেতা সুরেশ সাউ ক্রমাগত স্লোগান দিতে থাকেন ” তৃণমূলী গদ্দারও কো গোলি মারো গোলি মারো “। এর পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে থাকে ।
আজ হুগলির তালডাঙ্গা মোড় থেকে মানকুণ্ডুর সার্কাস মাঠ পর্যন্ত রোড শো করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী । সঙ্গে ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং,হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি,স্বপন দাশগুপ্ত প্রমুখ বিজেপি নেতৃত্ব । আর সেই মিছিল থেকেই উঠলো স্লোগান গলি মারো শালো কো । যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপির প্রথম সারির একাধিক সাংসদ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এমন স্লোগান উঠল তা নিয়ে জোর সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
এই প্রসঙ্গ বিজেপির মুখপত্র তথা নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, দল কখনই এই ধরনের স্লোগানকে মান্যতা দেয় না। আগামিদিন যাতে বিজেপির মিছিলে এমন স্লোগান কেউ না ব্যবহার করে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে এদিনের মিছিলে যারা এহেন স্লোগান তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে বলে দাবি শমীকবাবুর। একই সঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, বিজেপির পতাকা হাতে কেউ এই ধরনের স্লোগান তুললে তা নিন্দাজনক।
চন্দননগরের রথতলা মোড়ের কাছে সেই বিতর্কিত স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।মিছিলে হুগলির বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ স্লোগান তোলেন; “ত্রিনমুলি কে গাদ্দার কো, গোলী মারো শালো কো”।
এরপরেই গতকাল রাতে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয় । সূত্রের খবর রাত্রের দিকে সুরেশ সাউকে তার ব্যান্ডেলের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় । অবশ্য এই গ্রেপ্তারের সমর্থনে কোনরকম সরকারী সমর্থন পুলিশী সুত্রে পাওয়া যায়নি । দেখুন সেই বিতর্কিত ভিডিও ।