লক্ষীর ভান্ডারে লক্ষ্মী লাভ। আবেদ চিত্রকর ও সায়েরা চিত্রকর এর অভিনব ভাবনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: চন্ডিপুর :: শনিবার ২৬,এপ্রিল :: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চন্ডিপুর পটুয়াপাড়ায় হরিচক, নানকারচক ও মুরাদপুর এই তিনটি গ্ৰাম মিলে ১১৫ টি পটুয়া পরিবারের বাস। পটশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য তারা পটশিল্পে এনেছে এক অভিনব পরিবর্তন।

যুগের সঙ্গে তাল মিলাতে বর্তমানে তাদের গানের সাথে পরিবেশিত জড়ানো পটচিত্রের বিষয়টি কে মনের অজান্তেই গৌন করে ফেলেছেন। তাদের কাছে এখন মুখ্য বিষয় হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে সমাজের চাহিদা মতো নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সামগ্রীর উপর পট শিল্পকে ফুটিয়ে তোলা।

টি শার্ট, ওড়না, পাঞ্জাবি, কুর্তি, শাড়ি, কাঠের ট্রে, মাটির ও অ্যালুমিনিয়ামের ফুলদানি, ছাতা, মাটির জলের বোতল এবং পেনদানি থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রভৃতি জিনিসপত্রের উপর পটশিল্পকে তারা সযত্নে লালন পালন করছে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই, অস্তিত্ব রক্ষার সাথে সাথে পট শিল্পের প্রসার ঘটানো।

পট শিল্পের গুরুত্ব ও কদর বর্তমান লোকশিল্পপ্রেমী মানুষের মনেও জায়গা পেয়েছে। তাই চন্ডিপুরপটুয়াপাড়ায় আবেদ চিত্রকর ও সায়েরা চিত্রকর এর এখন নাওয়া খাওয়ার সময় নেই বললেই চলে। কলিকাতার রাজা নন্দী নামে এক ব্যাংক কর্মীর কাছে তারা বরাত পেয়েছেন হাজার হাজার লক্ষ্মীর ভান্ডারের পট শিল্পকে ফুটিয়ে তোলার।

পাড়ার আরো প্রায় ১০-১২ জন শিল্পীর পেটের ভাত জোগাড়ের জন্য একক প্রচেষ্টায় আবেদ চিত্রকর তৈরি করেছেন তার কর্মশালা, লক্ষীর ভান্ডারে পট শিল্পকে ফুটিয়ে তুলতে শিল্পীরা ব্যস্ত। লক্ষীর ভান্ডারে লক্ষ্মী লাভে এখন চন্ডিপুর পটুয়া পাড়ায় যেন খুশির হাওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 9 =