নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: আলিপুরদুয়ার :: রবিবার ১০,ডিসেম্বর :: রবিবার আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক সভা থেকেই পাহাড়ের সাধারণ মানুষদের সামনে আরও একবার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধার কথা বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর কথায় আবারো ঘুরে ফিরে এল কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সবুজশ্রীর মতো বিভিন্ন প্রকল্পের কথা৷
এই দিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর নগদ ৫ হাজার টাকা পেতে চলেছেন প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ কৃষক৷ এরসাথে তাঁর ঘোষণা, ”একটা বাড়িতে ৫টা বউ থাকলে ৫ জনই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন, এটা মনে রাখবেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা আমরা পাচ্ছি না। বাংলার বাড়ির টাকাও দিচ্ছে না। এটা ওদের টাকা নয়। সব ট্যাক্স তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শেয়ারের টাকা দিচ্ছে না।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রত্যেক বছর কৃষকদের সহায়তায় ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার৷ বছরে ২ দফায় এই টাকা দেওয়া হয়৷ আগামী ১২ ডিসেম্বর রাজ্যের ১ কোটি ২০ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদ ৫ হাজার টাকা পৌঁছে যাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই অসময়ের বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকেরই জমির ফসল নষ্ট হয়েছে৷
মুখ্যমন্ত্রী জানান, যাঁদের জমির ফসল এই বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে, যাঁদের শস্যবিমা করা রয়েছে তাঁরা সকলেই টাকা পাবেন৷ দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পের মাধ্যমে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর বিভিন্ন প্রকল্পে আবেদন করা যাবে৷ পরিষেবা প্রদান করা হবে ১লা জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে।
আজ সরকারি পরিষেবা দেওয়ার মঞ্চ থেকেই আলিপুরদুয়ার জেলার ৬ হাজার মানুষকে সরকারি পরিষেবা দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে মোট ২৬ হাজার মানুষকে, চা বাগানের সকল শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেওয়ার কথা এই মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা, চা সুন্দরী প্রকল্পে বাড়ি দেওয়ার সাথে সাথে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।