লাগাতার বর্ষণের ফলে ইছামতি নদীর জলস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে যেকোনো মুহূর্তে ভাঙ্গতে পারে কাঠের সেতু, সমস্যায় পড়তে পারে লক্ষ লক্ষ মানুষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বসিরহাট :: বুধবার ২৩,জুলাই :: কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ভোট চেয়েছিলেন। ভোট দিলেও’ গ্রামবাসীরা আজও পেল না কংক্রিটের সেতু। কবে হবে কেউ জানে না, সেতু হারিয়ে একের পর এক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে স্বরূপনগরের দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের

বসিরহাট মহাকুমার স্বরূপনগর ব্লকের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তরুণীপুরে কাঠের সেতুর একপাড়ে রয়েছে বনগাঁ ব্লকের গোপালপুর অন্য পাড়ে রয়েছে স্বরুপনগর ব্লকের তরণীপুর দুই পাড়ের মানুষের নিত্য প্রয়োজনে পারাপার করতে হয় এই সেতু দিয়ে। আর সেই সেতুর হাল একেবারেই বেহাল।সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিন ধরে কংক্রিটের ব্রিজ এর দাবি করলেও কয়েকবার শিলান্যাস হয়ে যাওয়ার পরেও এখনো পর্যন্ত তৈরি হয়নি কংক্রিটের সেতু, তার বদলে মানুষের মন রক্ষা করতে ইছামতির উপর তৈরি করা হয় একটি কাঠের সেতু ইতিমধ্যে এই সেতুর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ।

একদিকে গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণের ফলে ইছামতি নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে অন্যদিকে পদ্মা এবং যমুনার খালে ব্যাপক পরিমাণে কচুরি পানা জলের অভাবে আটকে ছিল।

বেশ কয়েক দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টির ফলে নদীতে ব্যাপক স্রোত এবং সেই স্রোতে কচুরিপানায় এসে চাপ দিচ্ছে তরুণীপুর কাঠের সেতুর উপরে তাই যে কোন মুহূর্তে ভাঙতে পারে এই সেতু এমনটাই আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। কয়েকদিন আগে স্বরূপ নগর এর কাটাবাগান এবং চারঘাটের একটি সেতু ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে,

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ লক্ষ মানুষ। তাই আগেভাগে প্রশাসন সতর্ক হোক। তা না হলে আবারো লক্ষ লক্ষ মানুষের রাস্তা হারাতে হবে এই সেতু যদি ভেঙে যায়।

বনগাঁ সংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ভোটের আগে কথা দিয়েছিলেন তরণীপুর সহ একাধিক কাঠের সেতু গুলি কংক্রিটের করা হবে, নদীগুলি ড্রেসিং করা হবে পাশাপাশি কর্মসংস্থানের জন্য আশ্বস্ত করেছিলেন গ্রামবাসীদের।

সেই উদ্যোগ নিয়ে তরণী পুরের এই কংক্রিটের সেতু হওয়ার জন্য শিলান্যাস করেছিলেন তারপর পুরো বিষয়টি অথই জলে পড়ে রয়েছে। বৃষ্টির জল পড়তেই জমে থাকা কচুরিপানা ব্যাপক পরিমাণে বেরিয়ে নদীকে গ্রাস করে নিয়েছে, যার কারণে সেই চাপ গিয়ে পড়ছে স্বরূপনগর ব্লকের যে কটি কাঠের সেতু রয়েছে প্রতিটা সেতু একেবারেই শেষ পর্যায়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − five =