নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: জলপাইগুড়ি :: সোমবার ২৮,অক্টোবর :: আর কদিন পরেই শ্যামাপূজা। বিভিন্ন ক্লাবের উদ্যোগে যেমন করে পূজো করা হবে তেমনি বিভিন্ন মন্দিরেও হবে শ্যামা পূজো। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শালবাড়ি বাজারের পাশেই রয়েছে ভ্রামরি মন্দির।
যদিও এই মন্দির নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। শালবাড়ির যারা স্থানীয় বাসিন্দা তাদের দাবি ৫১ পীঠের এক পীঠ এই মন্দির এবং তাদের এই মন্দিরেই দেবীর বামপদ পড়েছে। প্রচারের অন্তরালে থাকা এই মন্দিরের দেবী বেশ জাগ্রত এবং বছরভর বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা এসে এই মন্দিরে পুজো দিয়ে যান। শ্যামা পূজার দিনেই এই মন্দিরের পূজোর আয়োজন করা হয়।
নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি অনুযায়ী চণ্ডী পাঠ করে এখানে পূজো হয় এবং এখনো বলি প্রথা রয়েছে। পুজো শেষে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। কবে থেকে এখানে পুজোর শুরু হয়েছে তা স্থানীয়রা সঠিকভাবে বলতে পারেন না তাদের কথা অনুযায়ী পূর্বপুরুষরা পুজো করে আসছেন সেই থেকে তারা পুজো করেন।
যখন এত জনবসতি ছিল না এবং মন্দিরটি ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ ছিল ঠিক সে সময় এক সাধু এসে বেশ কয়েকদিন ধ্যান করে এখানে পুজো করেছিলেন এবং বলেছিলেন এখানে দেবীর বামপদ পড়েছে। তখন থেকেই একটি গাছের নিচেই এখানে পূজো হতো এবং পরবর্তীকালে ফালাকাটা রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার এখানে নিয়মিত পুজো করতে আসতেন।
ফালাকাটা স্টেশনে এই ভ্রামরী মন্দিরে আসার জন্য একটি রুট ম্যাপ করা ছিল। তবে দেবী জাগ্রত হলেও এই মন্দির এখনো প্রচারের আড়ালে শুধুমাত্র পুজোর দিন ঘটা করে এখানে পুজোর আয়োজন করে থাকেন স্থানীয়রা তবে মন্দিরটি এখনো সেভাবে প্রচারের আলোয় আসতে পারেনি। স্থানীয়রা চান সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হলে এটাও একটি তীর্থস্থান হতে পারে।