আমেরিকার ইন্টারাপ্স ইনকর্পোরেটেড এয়ার ইন্ডিয়ার শেয়ার কিনতে এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট বা EOI পেশ করল। একইভাবে আগ্রহ দেখিয়েছে টাটা সন্স। এয়ার ইন্ডিয়া কেনার EOI জমা দেওয়ার শেষদিন এ মাসের ১৪ তারিখ।
ইন্টারাপ্স যাতে এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে দর দেয়, সে জন্য এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীরা এই মার্কিন সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। টাটা গ্রুপের হোল্ডিং কোম্পানি টাটা সন্সও এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে EOI জমা দিয়েছে। টাটা সন্সের হাতেই এয়ার ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়,তারপর ১৯৫৩ সালে এটি অধিগ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের সচিব তুহিনকান্ত পাণ্ডে টুইট করে জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়ায় বিনিয়োগ করতে বেশ কিছু EOI জমা পড়েছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
ইন্টারাপ্স ও টাটা ছাড়া এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে যারা আগ্রহী, তাদের মধ্যে রয়েছে ২১৯ জন এয়ার ইন্ডিয়া কর্মী এবং একটি মার্কিন সংস্থাকে নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন, এরা বিমান সংস্থাটি কিনতে চায় ৫১:৪৯ অনুপাতে, যাতে কর্মীদের হাতে সিংহভাগ শেয়ার থাকে। আইন বলছে, এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীরাও কোম্পানিটি কিনতে পারেন, তবে বিলগ্নীকরণের নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা কোনও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বে যেতে পারবেন না, হয় কোনও ব্যাঙ্ক বা কোনও আর্থিক সংস্থার সঙ্গে সাহায্য নিতে হবে।
যে ২১৯ জন কর্মী এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, মার্কিন সংস্থার আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি নিলামে যোগ দিতে তাঁরা প্রত্যেকে ১ লাখ করে টাকা দেবেন।
২০১৯-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার ঋণের বোঝা ৬০,০৭৪ কোটি টাকা। যিনি এয়ার ইন্ডিয়া কিনবেন তাঁকে এই ঋণের ২৩,২৮৬.৫ কোটির দায়িত্ব নিতে হবে, বাকিটা চলে যাবে এয়ার ইন্ডিয়া অ্যাসেটস হোল্ডিং লিমিটেডে। এ নিয়ে ষষ্ঠবার এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির চেষ্টা করছে কেন্দ্র। ২০১৮ সালে তারা ৭৬ শতাংশ শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করে কিন্তু কোনও খদ্দের পাওয়া যায়নি। এবার তারা ৭৬ শতাংশের বদলে পুরোপুরি ১০০ শতাংশ শেয়ার বিক্রির কথা বলে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।