নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: ৪ঠা এপ্রিল :: কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা এর সঙ্গী ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে সোমবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শক্তিগড় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে ,এদিন কড়া পুলিশি বেষ্টনীর মধ্যে ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে হাসপাতাল থেকে বের করে ভ্যানে তোলা হয়। শক্তিগড় থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
রাজু ঝায়ের শুট আউট এর ঘটনার দিন ব্রতীন মুখোপাধ্যায় রাজুর সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন। তিনি ছিলেন পিছনের সিটে। দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়লে ব্রতীন বাবু গাড়ির দরজা খুলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় গুলি এসে লাগে তার হাতে। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাকে অনাময় হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এদিন হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের বলেন একই প্রশ্ন বারবার করে বিরক্ত করবেন না,আমি কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই তিনি কোলকাতায় কি করতে যাচ্ছিলেন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন নিজের কাজে যাচ্ছিলাম,গাড়িতে কে কে ছিলো প্রশ্ন করা হলে ব্রতিনবাবু বলেন সেটাতো সবই জানেন আর কি বলবো ।
লতিফ দা ছিলেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমি কাউকে চিনি না।আপনার সঙ্গে রাজুদার কি সম্পর্ক ,আমার দাদা ভাইয়ের সম্পর্ক।আপনারা কি ড্রিংক করেন একসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ব্রতিনবাবু বলেন না আমি ড্রিংক করিনা,আমি দাদার সাথে থাকি ।শক্তিগরে কেনো গিয়েছিলেন প্রশ্ন করা হলে ব্রতিনবাবু বলেন আমরাতো দাঁড়াই শক্তিগরে।চালক বলছে আব্দুল লতিফ গাড়িতে ছিলো প্রশ্ন করা হলে ,ব্রতিনবাবু বলেন তাহলে হতে পারে আমি জানি না।
আপনিকি আব্দুল লতিফকে চিনতেন না সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি জানান না চিনতেন না।গুলি কজন চালিয়েছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন দুজনকে দেখেছি,।তাদেরকে আপনি কি চিনতে পেরেছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন না চিনতে পারিনি।তাকে আবারো প্রশ্ন করা হলে কতোজন গুলি চালিয়েছে তিনি বলেন আমিতো বাঁদিকে ছিলাম আমি একজনকেই দেখেছি ।
একবার বলছে দুজনকে দেখেছি একবার বলছে একজনকে দেখেছি তাহলে ব্রতীন কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে এখানে।আর যখন গুলি চালিয়েছিলো তখন কি আপনারা তিনজন বাইরে ছিলেন প্রশ্ন করা হলে ব্রতীন বলেন আমি বাইরে ছিলাম।
এরপরেই কয়েকঘণ্টার মধ্যেই এদিন সিটের সদস্যরা ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবদ করছেন।তাকে জেলা পুলিশ সুপার অফিসে আনা হয়েছে। সেখানে প্রথমে সিটের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তারপর পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন নিজে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। গোটা পুলিশ সুপার অফিসকে কার্যত জতুগৃহ বানানো হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের অফিস থেকে বের করে দেয় পুলিশকর্মীরা।
এরপরেই জেলা পুলিশ সুপার হেডকোয়াটারের মেইন গেটে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ সুপার অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে লতিফের গাড়ির ড্রাইভার নুরকেও। তাকেও একইভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।