শতাধিক বছর প্রাচীন হাসনাবাদের রামেশ্বরপুরের রাধাকৃষ্ণের মন্দির।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হাসনাবাদ :: শতাধিক বছরের প্রাচীন উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের রামেশ্বরপুরের রাধাকৃষ্ণের মন্দির।যে মন্দির এর বিগ্রহ ইংরেজ আমলে বাংলাদেশের পাবনা জেলার অন্তর্গত এক পরিবারের থেকে আসা সচিদানন্দ ব্রহ্মচারী মহাশয়ের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় । কথিত আছে স্বপ্নাদেশ থেকে পাওয়া দেবতার নিদের্শে একটি নিম গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি এই মূর্তিটি।এই পরিবারের পূর্ব পুরুষ সচিদানন্দ মহাশয়ের কাছ থেকে নিয়ে আসেন। যেই সময়ে তিনি নবদ্বীপে ছিলেন। পরে সচিদানন্দ ব্রহ্মচারী দান করা জমিতে রাধা কৃষ্ণ মন্দির গড়ে ওঠে। এবং দেবতা কে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ইতিহাস বলছে সচিদানন্দ ব্রহ্মচারী আসল নাম ছিল কালিচরণ ঘোষ। পরে তিনি সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করেন এবং সচিদানন্দ ব্রহ্মচারী নামে বিভিন্ন দেশ দেশান্তরে তার ঈশ্বরিক ক্ষমতার নিদর্শন রাখেন। ঘোষ ও জমিদার বাড়ির মিলিত প্রয়াসে এই মন্দির গড়ে ওঠে। এবং এই মন্দিরে অনেক ঈশ্বরিক ঘটনা ঘটে, যা এই মন্দির সমগ্র অঞ্চলের মানুষকে কাছে আনে।

বর্তমানে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে তিনটি বড় পূজো হয়। বাজারের কমিটি ও অনান্যদের সহযোগিতায় বিশাল মেলা চলে সাতদিন ধরে।
এই রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে প্রতিদিন বৈষ্ণব ধর্মমতে রাধাকৃষ্ণ পূজিত হন। ঘোষ পরিবারের কৃষ্ণা দাস জানান,” বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণের মধ্যে দিয়ে এই মন্দিরে প্রতিদিন পূজো করেন”।রামেশ্বরপুরের রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে আজও ঈশ্বরিক উপস্থিতির জন্য সকল দিকে বিরাজমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 4 =