নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বালুরঘাট : : নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করার জের। মহিলা আইনজীবী ও তাঁর পরিবারকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠল এলাকার যুবকদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট শহরের উত্তমাশা এলাকায়।
বালুরঘাটের উত্তমাশা এলাকার বাসিন্দা রূপা প্রামাণিক। ওই মহিলা আইনজীবীর বাড়ির পিছনের দিকে নবীন সাথী নামে একটি ক্লাব রয়েছে। অভিযোগ, সেই ক্লাবের কয়েকজন সদস্য দশমীর রাতে আইনজীবীর বাড়ির সামনে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটাচ্ছিল। আইনজীবীর বাবা ওই যুবকদের কাছে যান। বাড়িতে অসুস্থ লোক থাকার কারণে সেখানে বাজি না ফাটানোর অনুরোধ করেন। সেসময় ওই যুবকেরা চলে গেলেও গভীর রাতে ফের ওই আইনজীবীর বাড়ির সামনে যায় তারা। এবার বাইরে থেকে শব্দবাজি ছোঁড়া হয় ঠিক জানালা লক্ষ্য করে।
সেই সময় আইনজীবীর বাবা বেরিয়ে প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধর করা হয়। বিষয়টি দেখতে পেয়েই বাইরে যান আইনজীবী রূপা ও তাঁর দিদি। বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয় রাস্তায় ফেলে। আক্রান্তদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে যেতেই পালিয়ে যায় আক্রমণকারীরা। গুরুতর আহত তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বালুরঘাট সদর হাসপাতালে ভরতি করে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই ওই আইনজীবী শনিবার রাতে বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
আক্রান্ত আইনজীবী রূপা প্রামাণিক বলেন, “দ্বিতীয়বার দুষ্কৃতীরা হাতে ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছিল। বাবাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে হাত ভেঙে দেয়। আমরা বাঁচাতে গেলে আমাকে ও দিদিকে রাস্তায় ফেলে টানতে টানতে নিয়ে যায় নারকীয়ভাবে। এরপর বুকে-পিঠে এলোপাথারি লাথি, ঘুষি চলে। হাত, পা-সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
আমরা ছাড়া পেলেও বাবা এখনও হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।” ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, থানায় অভিযোগের পাশাপাশি বিষয়টি বালুরঘাট বার এস্যোসিয়েশনে জানিয়েছিলেন। সেখানে থেকে জানানো হয়েছে যে, অভিযুক্তদের পক্ষে কেউ মামলায় লড়বেন না। অন্যদিকে, বালুরঘাট থানার পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানানো হয়েছে। একজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।