নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: শিলিগুড়ি :: শনিবার ৮,নভেম্বর :: বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার রিচা ঘোষের ঘরে ফেরা যেন উৎসবের রূপ নিল শিলিগুড়িতে। দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে অবতরণের পর থেকেই শহরের প্রতিটি মোড়ে ভিড় জমতে শুরু করে তাঁর জন্য। ফুল, ব্যানার, করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা শহর।
পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে বিকেলে তিনি উপস্থিত হন বাঘাযতীন পার্কে, যেখানে পৌরনিগমের পক্ষ থেকে তাঁকে নাগরিক সম্মানে ভূষিত করা হয়। পার্কের প্রবেশদ্বারেই লাল কার্পেট বিছিয়ে অপেক্ষা করছিল ছোট ছোট ক্রিকেটপ্রেমী বাচ্চারা।
ব্যাট উঁচু করে ‘রিচা দিদি’কে জানানো হয় অভিনব শুভেচ্ছা। শহরের মানুষ, ক্রিকেটপ্রেমী, ছাত্রছাত্রী-সবাই একসঙ্গে মুহূর্তটা বন্দি করতে ব্যস্ত।
যেন গোটা শিলিগুড়ি একসঙ্গে গাইছে, “আমাদের মেয়ে, আমাদের গর্ব!”মঞ্চে উঠে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো শংসাপত্র রিচার হাতে তুলে দেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। সঙ্গে ছিল ফুলের তোড়া ও উপহারসামগ্রী।
সংবর্ধনা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রিচা বলেন, “এই ভালোবাসার কোনও তুলনা হয় না। আমার শহর, আমার মানুষ-তোমরাই আমার শক্তি।” তাঁর এই কথায় তুমুল করতালিতে ফেটে পড়ে সমগ্র মঞ্চ এলাকা।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রিচা জানান, সরকারের দেওয়া চাকরির প্রস্তাবে তিনি খুশি, তবে আপাতত খেলাতেই মনোযোগ দিতে চান। “বাবার সঙ্গে আলোচনা করেই ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেব,”-হাসিমুখে বলেন রিচা। মাঠে তাঁর এই সরলতা ও বিনয় আরও একবার জয় করে নেয় উপস্থিত সকলের মন।
অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তে মেয়র ঘোষণা করেন, নতুন ইনডোর স্টেডিয়ামের একটি গ্যালারি রিচা ঘোষের নামে উৎসর্গ করা হবে। করতালিতে ভরে ওঠে বাঘাযতীন পার্ক। আলো, সঙ্গীত আর উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে শিলিগুড়ি। শহরের আকাশে আজ একটাই সুর – রিচা আমাদের গর্ব, রিচা আমাদের প্রেরণা

