শারীরিকভাবে অক্ষম প্যারালাইজড মহিলাকে স্ট্রেচারে করে হাজির করানো হলো কালেক্টর অফিসে বর্ধমানে

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: মঙ্গলবার ৩০,ডিসেম্বর :: ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানিতে অংশ নিতে স্ট্রেচারে করে কালেক্টর অফিসে হাজির করানো হলো মঙ্গলবার এক প্যারালাইজ্ড মহিলাকে। ঘটনাটি শহর বর্ধমানের কালেক্টর অফিসের নির্দিষ্ট শুনানি কক্ষে।

প্যারালাইজ্ড ওই মহিলার নাম ঋতু রাজ (ঋতু দেবী), বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। তিনি শহর বর্ধমানের মেহেদীবাগান এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিকভাবে অক্ষম ঋতু দেবীর পক্ষে স্বাভাবিকভাবে হাঁটা বা চলাফেরা করা কার্যত অসম্ভব।

তবুও ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানিতে হাজির না হলে নাম বাদ পড়তে পারে—এমন নির্দেশ পাওয়ার পরই তাঁকে স্ট্রেচারে করে কালেক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয় বলে অভিযোগ।

ঋতু দেবীর দাবি, ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় তাঁর নাম না থাকার কথা উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের তরফে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরিবারের লোকজন প্রশাসনের কাছে শারীরিক অক্ষমতার কথা জানালেও শুনানিতে শারীরিক উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বলেই জানানো হয় বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে স্ট্রেচারে করে শুনানি কক্ষে নিয়ে আসতে বাধ্য হন।

কালেক্টর অফিস চত্বরে এই দৃশ্য চোখে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, একজন সম্পূর্ণ প্যারালাইজ্ড মহিলার ক্ষেত্রে কি বিকল্প কোনও মানবিক পদ্ধতি গ্রহণ করা যেত না?

বাড়িতে গিয়ে যাচাই, ভিডিও কনফারেন্স বা মেডিক্যাল নথির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত—এমন একাধিক পথ থাকা সত্ত্বেও কেন শারীরিক উপস্থিতির উপর এতটা জোর দেওয়া হলো, তা নিয়েই উঠছে বিতর্ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × four =