কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত গরগরি মাঠ। প্রায় ২২ বিঘা এলাকা জুড়ে এই মাঠ। মাঠে খেলাধুলা করে স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা। কিন্তু আদিবাসীদের অভিযোগ শাসকদলের নেতাদের মদতে জমি মাফিয়ারা অবৈধ ভাবে দখল করছে ওই সরকারি জমি। দশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকায়।
তারা ভূমি সংস্কার দপ্তর থেকে শুরু করে সব জায়গায় অভিযোগ জানায়। কিন্তু কোন ফল হয়নি। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধক্ষ্য আদিত্য মিশ্রর দপ্তর মাঠের পাশেই। তার ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সুরাহা না পেয়ে অবশেষে মালদার জেলা শাসক নিতিন সিঙ্ঘানিয়ার কাছে অভিযোগ জানায় আদিবাসীরা।
তারপরেই জেলাশাসকের নির্দেশে মঙ্গলবার দিন গড়গড়ি মাঠ পর্যবেক্ষণ করতে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক ভূমি-স্বাস্থ্য আধিকারিক ফকরুদ্দিন আহমেদ। কিন্তু আদিবাসীদের প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি ভূমি সংস্কারক আধিকারিক।প্রশ্নের মুখে তিনি এলাকা ছেড়ে চলে যান।
তারপরে স্থানীয় প্রায় কয়েকশো আদিবাসী হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক ভূমি সংস্কারক আধিকারিকের দপ্তরের সামনে তীর,ধনুক ধামসা,মাদল নিয়ে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এদিকে সমগ্র ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর। তৃণমূলের মদতেই এসব হচ্ছে কটাক্ষ বিজেপির।
পাল্টা তৃণমূলের দাবি জমি বিক্রি করার কাজে যুক্ত ছিল বিজেপির স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। পরবর্তীতে গা বাঁচানোর জন্য তৃণমূলে যোগদান করেছে।এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক ফকরুদ্দিন আহমেদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি।