স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শিক্ষক প্রণব পতিত নাঁইয়া পড়াতেন জয়নগরে টিএস সনাতন হাইস্কুলে। মঙ্গলবার সকালে,নিজের বাড়ি থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে তাতে আবার লেখা রয়েছে, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
তাহলে কী কারণে আত্মহত্যা ? তা তদন্ত শুরু করেছে কুলতলী থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। প্রণবের বাবা সুভাষচন্দ্র নাঁইয়া বলছেন,আমার তো একটাই ছেলে। সারাক্ষণ তো ফোন ঘাঁটত। চাকরির বিষয়ে সব শুনছিল, দেখছিল।
ওইসব নিয়েই চিন্তা করছিল। আমি বলি চাকরিটা যাক তারপর তো ভাববি, এখন কেন এসব ভাবছিস! ওর কোনও দেনাও ছিল না। তাও এই কাণ্ড করে ফেলেছে। ২০১২ সালে চাকরি পেয়েছিলেন প্রণব। এখনও বিয়ে করেননি।
নতুন বাড়িও হচ্ছিল। তার মধ্যেই আচমকা এ ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। শোকের ছায়া এলাকায়। প্রিয় শিক্ষককে হারিয়ে শোকে কাতর পড়ুয়ারাও।