শিশুকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রেমিককে চুঁচুড়া আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনালো ।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: চুঁচুড়া :: বৃহস্পতিবার ৩০,জানুয়ারি :: প্রেমের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ১১ বছরের শিশু ! সেই শিশুকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রেমিককে চুঁচুড়া আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনালো । আট বছর আগে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করেন।

হুগলির তিন নম্বর কৃষ্ণপুর এলাকার এক মহিলা, যিনি বিবাহ বিচ্ছিন্না ছিলেন, তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ব্যান্ডেলের লিচুবাগানের বাসিন্দা অরবিন্দ তাঁতির। ওই মহিলা তাঁর বাপের বাড়িতে থাকতেন, যেখানে প্রেমিক অরবিন্দের যাতায়াত ছিল নিয়মিত। তবে এই সম্পর্কে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মহিলার ১১ বছরের ছেলে সৌম্যজিৎ।

প্রেমিকের সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলনা সে ।আর এই কারণেই অরবিন্দ ক্রমাগত বিরক্ত বোধ করছিল । এই নিয়েই প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে একাধিকবার অশান্তি হয়। তারই মধ্যে ২০১৭ সালের ৭ জানুয়ারি এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটে।

সৌম্যজিৎকে বিশ্বাস অর্জনের জন্য বিস্কুট কিনে দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অরবিন্দ। এরপর, ঠান্ডা মাথায় শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে ।

খুনের পর, শিশুটির মৃতদেহ হুগলি স্টেশন সংলগ্ন একটি মন্দিরের পাশে ফেলে রেখে আসে যাতে ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলে চালানো যায়। পরদিন সৌম্যজিতের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তাঁর মা-ই সন্দেহ প্রকাশ করে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে । তদন্ত শুরু হয় এবং একাধিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত অরবিন্দ তাঁতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘ আট বছর ধরে মামলাটি চলতে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × five =