নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নলপুর :: শনিবার ৩,জুন :: শুক্রবার বাড়ি ফেরার ট্রেনে উঠে ফোন করে বলেছিলো শনিবার বাড়ি পৌঁছবে। যদিও বাড়ির কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি বাড়ি ফিরবে তার নিথর দেহ। হাওড়ার নলপুর মধ্যমপাড়ার বাসিন্দা শেখ মুন্না। সাত ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছেলে পরিবারের। বছর সাতেক আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর কোনও সন্তান হয়নি।
কোভিড মহামারীর পর থেকে এলাকাতে তেমন রোজগারের পথ না পেয়ে ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে গিয়েছিলেন। মাস পাঁচেক আগে বাড়ি থেকে গিয়েছিলেন সুদূর তামিনাড়ুতে জরির কাজ করতে। শনিবার তাঁর বাড়ি ফেরার কথাও জানিয়েছিলেন ট্রেনে উঠে। শেষ কথা হয় বাড়ির লোকের সাথে।এরপর বালেশ্বরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় কাটছিলো পরিবারের।
সব জল্পনার অবসান হল পরিবারের সদস্যর মৃত্যুর খবর পেয়ে। নেমে এল শোকের ছায়া। শুক্রবার বিকেল ৫ টা নাগাদ শেষ কথা হয় তাঁর সঙ্গে। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই মুন্নার ফোনে ফোন করলেও ক্রমাগত বেজে যাচ্ছিলো। রাত ১১টার সময় ফোনের অপর প্রান্তে এক অচেনা ব্যক্তি ফোন তুলে জানাল তাঁদের পরিবারের সদস্যর দুর্ঘটনাতে মৃত্যু হয়েছে। বাড়িতে বাবা ও স্ত্রী রয়েছে তার