শুধুই আশ্বাস! ১০ বছর ধরে সংস্কার না হওয়া রাস্তায় হাটতে চোখের জল বেরিয়ে আসছে বালুরঘাটের বোয়ালদাড়ের বাসিন্দাদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: বালুরঘাট :: সংবাদ প্রবাহ ::  রাস্তা, না কাদায় ডোবা জমি তা অনেকেই বুঝতে পারবেন না। বর্ষার‌ শুরুতেই এক হাটু কাদায় ডুবেছে রাস্তা। বেশি বৃষ্টি হলে আবার রাস্তার উপরের জমা জলেই চলছে ভেলা-নৌকা। শুনতে কিছুটা অবাক মনে হলেও বেহাল এই রাস্তাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন বিধানসভা কেন্দ্রের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরমপুর এলাকার। ক্ষোভে আজও ফুসছেন বাসিন্দারা। আশ্বাসের পর আশ্বাস মিললেও তৈরি হয়নি রাস্তা। অবিলম্বে রাস্তা সারাইয়ের দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।গ্রামবাসীদের অভিযোগ ৪নং বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের রহতুল থেকে কয়রাকল শ্মশান পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশী সময় ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে খোরকাডাঙ, কয়রাকল, রহতুল, রাজুয়া, বড়মপুর, ভাটরা সহ বেশকিছু গ্রামের প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ঐ রাস্তাটিতে চলাচল করা কার্যত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। রাস্তা নির্মাণ না হওয়ায় বর্তমানে মাটির রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গায় যেমন খানা খন্দে পরিণত হয়েছে তেমনি বর্ষা নামলেই রাস্তায় জমে প্রায় হাটু সমান কাদা। ফলে এই রাস্তা দিয়ে বর্ষাকালে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতেও নাভিশ্বাস অবস্থা উঠছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। আর যা নিয়েই ক্ষোভে ফুসছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। বর্ষা আসলেই রাস্তাটির কিছুটা অংশ পার হতে ভেলা নৌকা ব্যবহার করতে হয় গ্রামবাসীদের বলেও অভিযোগ। ৫ বছরেরও বেশী সময় ধরে রাস্তা নির্মাণের আর্জি স্থানীয় পঞ্চায়েতে থেকে জেলা পরিষদে বা বিডিও অফিস সব জায়গায় জানিয়েও কোন ফল পাননি বাসিন্দারা বলেও অভিযোগ। তাই নেতাদের আশ্বাসে ভরসা উঠেছে গ্রামবাসীদের, আজ তারা চেয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। রহতুল গ্রামের বাসিন্দা জোৎস্না বর্মন বলেন জরুরী প্রয়োজনে এই রাস্তা দিয়ে রুগীকেও নিয়ে যাওয়া যায় না। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চোখের জল ফেলতে হয়, বর্ষাকালে রাস্তার উপরে জমা জলে কোন কোন সময়ে চলে ভেলা, নৌকা।শচীন বর্মন বলেন পঞ্চায়েতে, জেলা পরিষদ, বিডিও অফিসে আবেদন জানিয়েও রাস্তা নির্মাণ হয়নি, আমরা রাস্তাটি নির্মাণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − fourteen =