শ্বাসনালীতে আটকে যাওয়া বাঁশি বের করে ৫ বছরের শিশুকন্যার জীবন বাঁচালেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

উদয় ঘোষ :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: শ্বাসনালীতে আটকে যাওয়া বাঁশি বের করে ৫ বছরের শিশুকন্যার জীবন বাঁচালেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের চিকিৎসকরা। সময়মতো অস্ত্রপচার না হলে শিশুটির প্রাণ সংশয় ছিল। তাছাড়া এ ধরণের অস্ত্রপচার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেই কাজ সফলতার সঙ্গে করলেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রপচারের পর শিশুটি সুস্থ রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

এর আগেও এ ধরণের জটিল অস্ত্রপচারে সাফল্য পেয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শিশুর খাদ্যনালীতে আটকে যাওয়া কুলের বীজ ও পয়সা বের করে প্রাণ বাঁচিয়েছেন তাঁরা। হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ ঋতম রায় বলেন, এ ধরণের অস্ত্রপচার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনও সময় প্রাণ সংশয় হতে পারে।

সময়মতো অস্ত্রপচার না হলে রোগীর প্রাণহানির সম্ভাবনা থেকে যায়। এক্ষেত্রে খুব কম সময়ের মধ্যে সব ধরণের ব্যবস্থা করে শিশুটির অস্ত্রপচার সম্ভব হয়েছে।

এত দ্রুততার সঙ্গে অস্ত্রপচার নজিরবিহীন। অস্ত্রপচারের পর শিশুটি সুস্থ রয়েছে। শিশুর জীবন রক্ষা করতে পেরে আমাদের সকলের খুব ভালো লাগছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার চন্দ্রকোটা গ্রামের বর পাঁচের সাহিনুর খাতুন সরস্বতী পুজোর দিন পুতুল নিয়ে খেলা করছিল। খেলার সময় পুতুলের পিছনের দিকে থাকা বাঁশি মুখের মধ্যে চলে যায়। সেটি খাদ্যনালীতে না ঢুকে শ্বাসনালীর বাঁ দিকে আটকে যায়। ফলে, সাহিনুরের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ভিতর থেকে বাঁশির শব্দ বের হতে থাকে। পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।

সেখান থেকে সাহিনুরকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহিির্বভাগে আনা হয়। পরীক্ষা করে শিশুটির অস্ত্রপচার দ্রুত করা জরুরি বলে মত দেন চিকিৎসকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই অস্ত্রপচারের ব্যবস্থা করা হয়। অস্ত্রপচারের জন্য ১০ জনের একটি টিম গঠন করা হয়। তাতে ঋতম রায় ছাড়াও ডাঃ অসীম সরকার ও অ্যানাস্থেটিস্ট ডাঃ দেবায়ন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা ছিলেন। ব্রঙ্কোস্পপি করে সাহিনুরের শ্বাসনালী থেকে বাঁশিটি বের করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + 3 =