সকল সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ঝাড়গ্রাম জেলার নেকড়াশোল গ্রামের ডোমপাড়া।

দেবেন তেওয়ারী :: সংবাদ প্রবাহ :: ঝাড়গ্রাম :: ভোটের সময় হলেই দেখা মিলে বিভিন্ন দলের নেতাদের, এছাড়াও মেলে বহু ধরনের প্রতিশ্রুতি তবে ভোট পেরিয়ে গেলে তাদের আর দেখা যায় না। পঞ্চায়েতে গেলেও মিলেনা কোন রকমের সাহায্য এমনই অভিযোগ করছেন নয়াগ্রাম ব্লকের নেকড়াশোল গ্রামের ডোমপাড়ার বাসিন্দারা।

যেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিশেষ করে জঙ্গলমহল এলাকায় ঢালাও উন্নয়ন হলেও বাদ পড়ে গেছে বেশ কিছু গ্রাম, বাদ পড়া গ্রামগুলির মধ্যেই এই ডোমপাড়া। বাংলা সীমান্তে ওড়িশা রাজ্য ঘেষা এই নেকড়াশোল গ্ৰাম। যে জায়গায় রাজ্য সরকার সমস্ত কিছু দিচ্ছে সুযোগ-সুবিধা রাজ্যবাসীকে, কিন্তু সেই জায়গায় থেকে কেন এরা বঞ্চিত হবে ? প্রশ্ন করছেন ওই এলাকার মানুষ।

এলাকার এই ডোম সম্প্রদায়ের মানুষেরা বলেন, তারা বাঁশ দিয়ে ডালা তৈরী করেন তবে সেটা করে যেটুকু অর্থ উপার্জন হয় তাতে কোনোরকমে তাদের জীবন চলছে। তারা সরকারি রেশন ছাড়া আর কোনও সাহায্যই পান না, থাকেন ভাঙ্গা ঘরে। ভাঙ্গা ঘরের উপরে পলিথিন চাইতে গেলেও মেলে না সাহায্য।

ঝাড়গ্রাম জেলায় প্রত্যন্ত এলাকা এই নয়াগ্রাম। এই নয়াগ্ৰাম ব্লকের ৯ নম্বর অঞ্চলের নেকড়াশোল গ্রামে রয়েছে ডোমপাড়া। সেখানে ডোম জাতি সম্প্রদায়ের অনেক মানুষজনের বসবাস রয়েছে।

গ্রামের রজনী কালন্দীর অভিযোগ, তাঁর ৫ বছরের ছোট্ট ছেলে দীপেন্দু কালন্দী”র দুটি পায়ে প্রতিবন্ধকতা ও মুখে বোবা। প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য পঞ্চায়েতে বলা হলে কোনো সাহায্যই পাননি। অভিযোগ করছেন এলাকারই আরো এক প্রতিবন্ধী মহিলার পরিবার, নয়াগ্রাম বিডিও অফিসে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য যাওয়া হলেও ঘুরিয়ে দেওয়া হয় পরিবারকে।

গ্রামে এখনও পানীয়ের জন্য কোনো নলকূপের ব্যবস্থা নেই। নির্ভর কুঁয়ার জল। এই কুঁয়ার জলে খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুটা এদের নির্ভরশীল থাকতে হয়।এই বিষয়ে ব্লক অধিকারী ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কেউই ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি।

এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে জানিয়েছেন এলাকায় উন্নয়ন মূলক অনেক কাজই হয়েছে তার মধ্যে যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে প্রত্যন্ত এলাকার সমস্যার জন্য দায়ী করা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন ও পঞ্চায়েত কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × one =