নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: সন্দেশখালী :: রবিবার ১২,মে :: সন্দেশখালির একের পর এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। এই নিয়ে চর্চার মধ্যেই ফের একবার তপ্ত সন্দেশখালি। মিথ্যা মামলায় দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। এমনই অভিযোগ তুলে রবিবার সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র।
অন্য দিকে, সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর সামনেই এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ওই তৃণমূল কর্মীকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়, জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। আক্রান্তের বক্তব্য, তিনি তৃণমূল করেন, এটাই তাঁর অপরাধ। বিধায়কের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী রেখা এই সব কাজ করাচ্ছেন।
ওই বিক্ষোভকারীর আরও দাবি, সন্দেশখালির মহিলাদের উপর অত্যাচার হওয়ার খবর পেয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি। এখন তাঁদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে মিথ্যে কথা বলার অভিযোগ আনছেন। এর প্রতিবাদেই তাঁরা ফের আন্দোলনে নেমেছেন।
বিক্ষোভকারী আরও এক মহিলা বলেন, “তৃণমূলের এই অঞ্চলের নেতাকর্মীরা আমাদের বক্তব্যকে বিকৃত করে ফেক ভিডিও তৈরি করে আন্দোলনকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করছে। রেখা পাত্রকে উঠতে দিতে চাইছে না।”
সম্প্রতি জেলিয়াখালি এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিজেপির দাবি, মিথ্যা ছিনতাইয়ের মামলা রুজু করে বেছে বেছে তাদের কর্মীদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। শনিবারই প্রকাশ্যে এসেছে সন্দেশখালির স্টিং ভিডিয়োর দ্বিতীয় পর্ব। এই ভিডিয়োতেও সন্দেশখালির স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে দেখা গিয়েছে।
প্রথম ভিডিয়োতেই দেখা যায়, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের কাছে গঙ্গাধর নিজে স্বীকার করছেন, সন্দেশখালির আন্দোলন সাজানো। টাকার বিনিময়ে সেখানকার মহিলারা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং অত্যাচারের ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেছেন । যদিও সংবাদ প্রবাহ এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ।