সপ্তমীর হোমের আগুন নেভে বিসর্জনে ! অতীতকে আকঁড়ে ধরে আছে মন্ডল বাড়ির দুর্গাপুজো

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ডায়মন্ডহারবার :: রবিবার ২১,সেপ্টেম্বর :: অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটা দিনের আকাশের শরতের মেঘ জানান দিচ্ছে উমা আসছে তার বাপের বাড়িতে। উমার আগমনে চারিদিকে সাজো সাজোরব ।

অতীতকে আগলে রেখে বর্তমান প্রজন্মের হাত ধরে ১৬০ তম বর্ষে পদার্পণ করলো বারদ্রোনের মন্ডল বাড়ির দুর্গাপুজো। এই মন্ডল বাড়ির আনাচে-কানাচে কান পাতলে শোনা যায় অতীতের ইতিহাস।১৮৬৬ সালে অবিভক্ত বাংলার নবাব ছিলেন হুসেন শাহ। সেই সময় এই মন্ডল পরিবারের উত্থান ঘটে। তৎকালীন সময় এই ডায়মন্ড হারবার শহরের নাম ছিল হাজিপুর।বারদ্রোণ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন অযোধ্যা রাম মণ্ডল ৷ তিনি ওই লবণ ও তাঁতের ব্যবসা করে প্রচুর ধনসম্পত্তির মালিক হন।

হটুগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, মথুরাপুর, নামখানা-সহ একাধিক এলাকায় জমিদারি শুরু করেন ৷ সেই অযোধ্যা রামের বংশধর ছিলেন জমিদার গোলকচন্দ্র মণ্ডল ৷

আগের মতো জাঁকজমক না হলেও, নিয়ম মেনে দেবীর আরাধনা করেন মণ্ডল বাড়ির সদস্যরা ৷ বিশুদ্ধ নন্দীকেশ্বর রীতি মেনে পুজো হয় এখানে ৷ আগে অষ্টমীর সন্ধিপুজোয় গুলি ছোড়া এবং নবমীতে পাঁঠাবলির রীতি ছিল ৷

তবে জমিদারি প্রথার বিলুপ্তির সঙ্গে সেই সব রীতিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ বারদ্রোণের জমিদার বাড়িতে সুবিশাল দালান বাড়ি তৈরি করেছিলেন গোলকবাবু ৷

অতীতে সেখানে পুজোর চারদিন গ্রামবাসীদের মনোরঞ্জনের জন্য কবি গানের আসর বসত ৷ মহাসপ্তমীতে এলাকায় ব্রাহ্মণ ভোজন ও মহানবমীতে কুমারী পুজোর চল ছিল ৷ তবে কুমারী পুজো হলেও, বন্ধ হয়ে গিয়েছে ব্রাহ্মণ ভোজনের রীতি ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 9 =