সপ্তমী-অষ্টমীতে একা এখানে বসে থাকব,দার্জিলিংয়ে সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল – জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: শনিবার ০৭ ,অক্টোবর :: গতকালই আমরা বলেছিলাম রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে । গতকাল রাজভবনের তরফ থেকে একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। প্রথমেই বলবো এটা ফেরাও নয় ঘেরাও গেটে হয় আমাদের অবস্থান মঞ্চ গেট থেকে অনেকটা দূরে । আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছি।

আমার রাজভবন যেতে ২ থেকে আড়াই মিনিট কিন্তু ওনার ফ্লাইট এ আসলেও সময় লাগবে দুই থেকে তিন ঘন্টা। আমাকে সোমবারে ইমেল করা হয় রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে রয়েছেন বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। আমাদের প্রতিনিধি দল যদি অনুসরণ শিলিগুড়ি বা কলকাতায় দেখা করতে চায় তাহলে আমরা যেভাবে চাই উনি দেখা করবেন।

আপনি দু ঘন্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলে চলে গেলেন এই আপনার পরিদর্শন। কার থেকে নির্দেশ নিতে দিল্লিতে গিয়েছেন। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত দিল্লিতে রাজ্যপালের সফরসূচি কি। বাংলার মানুষের হয়ে কথা বলতে গিয়েছেন বাংলার কথা বলতে গিয়েছেন কি করতে গেছেন। গত ৩ তারিখ দিল্লিতে যে ঘটনা ঘটেছিল সেটার নিন্দা করে রাজ্যপাল বিবৃতি প্রকাশ করেননি।

উনি বাংলায় আসলে আমরা প্রতিনিধি পাঠিয়ে দার্জিলিং গিয়ে দেখা করতে পারতাম। উনি মেইল করেছেন আগামীকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটায় উনি দেখা করবেন। আগামীকাল সুব্রত বকশীর নেতৃত্বে তিনজনে যাবে ।কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রদীপ মজুমদার মহুয়া মিত্র ।

তবে কলকাতায় এই ধরনা মঞ্চে এসে আপনাকে আমার সঙ্গে দেখা করতে হবে। আমার নেতৃত্ব বাংলার মানুষের এই ৫০ হাজার চিঠি এবং মূল ডেলিগেশন আপনার কাছে জমা দেব। আগামীকাল আমাদের প্রতিনিধি দল দার্জিলিং এ গিয়ে রাজ্যপালকে বলবে আমাদের মূল ডেলিগেশন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

আগামীকাল বিজেপি একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন তবে কেউ জানে না সেই সাংবাদিক বৈঠকে কি হবে। সংবাদ বৈঠকে কি হবে আমি বলে দিচ্ছি। কালকের ছবি দেখে আজকে পর্যন্ত এই ধরনা মঞ্চ দেখে নরেন্দ্র মোদির ঘুম উরে গেছে। তৃণমূল লোক নিয়ে যায়নি লোক তৃণমূলকে নিয়ে গিয়েছে। আগামীকাল নিরঞ্জন জ্যোতি বা গিরিরাজ কেউ একজন আসবেন এই বাংলায় শুধুমাত্র একটি সাংবাদিক বৈঠক করতে।

আগামীকাল তিনজন প্রতিনিধি সকালে দলের তরফ থেকে ফ্লাইট ধরে দার্জিলিং যাবে আবার দার্জিলিং থেকে ফিরবে। আপনি যদি ভাবেন পুজো কাটিয়ে আসবো। সপ্তম অষ্টমীতে আমি একা বসে থাকব কাউকে থাকতে হবে না। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন।

রাজ্যপালের কাছে প্রশ্ন কুড়ি লক্ষ্ মানুষ বাংলা থেকে মানরেগার কাজ করেছে কিনা আর যদি কাজ করে থাকে তাহলে তাদের বেতন কিভাবে আটকে রেখেছে কেন্দ্র। রাজ্যপাল নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রের কাছে এই দাবিগুলি চিঠি লিখে জানিয়ে প্রশ্নর উত্তর আমাদেরকে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − 2 =