নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: সবুজ বাজি বিক্রির প্রায় ৩৩টি লাইসেন্স দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সেই লাইসেন্স পেয়েছেন যে ব্যবসায়ীরা, তাঁরা বিধিনিষেধ মেনে দোকান থেকে সবুজ বাজি বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে বাজি বাজার করার মতো বা সেই বাজার হলেও সেখানে নজরদারি চালানোর পরিকাঠামো নেই, সেখানে ব্যবসায়ীদের দোকানে দোকানে ঘুরে নজরদারি চালানোর মতো পরিকাঠামো কি পুলিশের আছে? এ ভাবে ব্যবসার সুযোগ পেয়ে সবুজ বাজির আড়ালে আদতে নিষিদ্ধ বাজিই বিক্রি করা হবে না তো ?
চলতি বছরে কলকাতা হাই কোর্ট সব রকমের বাজি বিক্রি এবং ফাটানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরে বাজি ব্যবসায়ীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সর্বোচ্চ আদালত সবুজ বাজি বিক্রি এবং ফাটানোয় ছাড় দেয়। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, শহরে এমন বাজি পাওয়া যায় কোথায়? বুধবার রাত পর্যন্ত খবর, কলকাতায় এই ধরনের কোনও বাজি বিক্রি হয় না।
পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি তৈরি করে, এমন কোনও কারখানাও এই রাজ্যে নেই। রাজ্যের ৩৭টি বাজি কারখানা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে নথিভুক্ত। যার মধ্যে মাত্র তিনটি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজ়েশনের (পেসো) ছাড়পত্র পাওয়া।
কিন্তু ওই কারখানাগুলি পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরি করে না। এমন বাজি তৈরিতে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (নিরি)-এর ছাড়পত্র লাগে। দেশে কোনও কারখানাকে সেই ছাড়পত্র দিয়েছে নিরি, তা শোনা যায়নি। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, যদি সবুজ বাজি শহরে না-ই পাওয়া যায়, তা হলে সেই বাজি বিক্রির অনুমতি পেতে ব্যবসায়ীরা এত উতলা কেন?