সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়ন চলছিল দুই স্ত্রীকে কেন্দ্র করে। সেই ‘সমস্যা’ মেটাতেই শেষমেশ দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও শিশুকে খুন । এমনি অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে । মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার থানা এলাকার দিগবেড়িয়াতে।
সন্তানসহ গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হয় স্থানীয় একটি মাঠের জলাভূমি থেকে। এই ঘটনায় মৃতার পরিবার মন্দিরবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করে । ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত স্বামী আজিজুল জমাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ । পুলিশি জেরাতে দোষ নিজের সব দোষ স্বীকার করে নেয় আজিজুল।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন আগে আজিজুলের বিয়ে হয় তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে। সেই সময় ট্রেনে যাতায়াত করতে-করতে পরিচয় হয় পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা বছর তেইশের তুহিনা বিবির সঙ্গে । পরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হওয়ায় বিয়ের পথে হাঁটে দু’জন। দ্বিতীয় পক্ষের একটি সন্তান হয় আজিজুলের ।
কিন্তু প্রথম থেকেই বাড়িতে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে সরব হতে থাকে প্রথম পক্ষের স্ত্রী। দীর্ঘ টানাপোড়নের মধ্যেই তাই সন্তানকে নিয়ে তুহিনা বাপের বাড়িতেই থাকত । মাঝেমধ্যে আসত শ্বশুরবাড়ি। যদিও দুই সতীনের মধ্যে এই নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। অভিযোগ, সপ্তাহখানেক আগে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে আজিজুল-তুহিনার একরত্তি সন্তান ।
সেই অসুস্থতার কথা স্বামীকে জানায় তুহিনা । এরপরই মেয়েকে ডাক্তার দেখাবে বলে তাকে ডেকে পাঠায় আজিজুল । কিন্তু শ্বশুরবাড়ি আসার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় সন্তান সহ সে ।
এর দুদিন পর হঠাৎই দুজনের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয় এলাকার একটি মাঠের ধারের জলাভূমি থেকে। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ ওঠে আজিজুলের বিরুদ্ধে । অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মন্দিরবাজার থানার পুলিশ । বুধবার ধৃতকে ডায়মন্ডহারবার এ সি জে এম আদালতে পেশ করা হয়।
ধৃতের বিরুদ্ধে খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাট সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে । সে একাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে না এই ঘটনার সাথে আরো কেউ যুক্ত আছে তা নিশ্চিত হতে ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালাতে চাইছে মন্দিরবাজার থানার পুলিশ। এই ঘটনায় মৃতের পরিবারে আভিযোগ, আজিজুল খুন করেছে। ডাক্তার দেখানোর নাম করে ডেকে এনেছিল ওদের। আমরা সরাসরি অভিযুক্তদের ফাঁসি চাই।