সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা, কপিলমুনি মন্দির চত্বর জলমগ্ন

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সাগর :: গুরু পূর্ণিমার ভরা কোটাল সঙ্গে হু হু করে বইছে পূবালী বাতাস। উত্তাল বঙ্গোপসাগর। একের পর এক দৈত্যাকার ঢেউ আছড়ে পড়ছে সাগর পাড়ে। কোটালের জোয়ারের জলে জলমগ্ন হয়েছে সাগরের কপিলমনি মন্দির চত্বর। সুন্দরবন উপকূলে একের পর এক নদী বাঁধ উপছে প্লাবিত হচ্ছে এলাকা।নোনা জল প্রবেশ করেছে চাষের জমিতে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গ্রামবাসীরা। সাগরদ্বীপের বঙ্কিমনগরে নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে চাষের জমি ও গ্রামে প্রবেশ করছে নোনা জল আতঙ্কে ঘর ছাড়া গ্রামবাসীরা। সাগরের ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির।

বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকার কারণে ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগরে পর্যটকদের সমুদ্র স্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্লক প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকেই ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা মাইকিং এর মাধ্যমে পর্যটকদের সতর্ক করার কাজ চালাচ্ছে।

একই ছবি ধরা পড়েছে নামখানার বকখালিতে। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সতর্ক করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

সাগরে কপিলমুনি আশ্রম এর কাছে জলোচ্ছ্বাস। সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল জানান, পূর্ণিমার কোটাল ও সঙ্গে পূবালী বাতাসের জেরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে পড়েছে। পর্যটকদের দুর্ঘটনা এড়াতে সমুদ্র স্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সাগরের বেশ কিছু জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে কিংবা নদী বাঁধ উপছে এলাকায় জল ঢুকেছে।

ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামবাসী মানুষদের জন্য খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন বাঁধ সংস্কার ও মেরামতির কাজ চালানো হচ্ছে। সমস্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ব্লক প্রশাসন প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 1 =