সংবাদ প্রবাহ ::সম্পাদকীয় ::শুক্রবার ৪,অক্টোবর ::
কিছুদিন আগে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে ফেরার কথা বলছিলেন। সেই “উৎসব ফেরা” কথা কে সামনে রেখে নানা ধারণের তর্কবিতর্ক এবং সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।
হ্যা, এই উৎসব বাঙ্গালীর সবথেকে বড় উৎসব, এই উৎসব শুধু আনন্দের উৎসব নয় এই উৎসব কে সামনে রেখে এক এক শ্রেণীর মানুষ রুটি রুজির পথ খুজে পায়। তাই উৎসব কে উৎসবের মতো করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই সঠিক পদ্ধতি, ঠিক যেমন কোন একটা আন্দোলন কে আন্দোলনের মতো করে চালিয়ে যাওয়া।
মাননীয়ার উৎসবে ফেরার কথায় শুনেই মনে পড়েগেল ২০০৭ এবং ২০০৮ সালের বাঙ্গালীর এই মহান উৎসবের কথা। ২০০৭ সালের ১৭ই অক্টোবর, দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিনে রিজওয়ানুর হত্যার প্রতিবাদে প্রিন্সেপ ঘাটে মহামিছিল যার নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে। সেই দিন উত্তর কলকাতা কার্যত অবরুদ্ধ। সেই দিন মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে দাবী করেছিলেন কলকাতার সি.পি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।
পরের দিন ১৮ই অক্টোবর, দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিনে জায়গায় জায়গায় তৃণমূলের বিক্ষোভ। সন্ধ্যেবেলায় টিভির পর্দায় বাঙালি তখন পরিচিত পুজো পরিক্রমা না দেখে মাননীয়ার ভাষণ শুনছে।
সেই বছর উৎসবটা এইভাবেই হয়েছিল। তখন কি আন্দোলন কারীদের উৎসবে ফেরার কথা মনে হয়নি ? মনে হয়নি যে এই উৎসব কে সামনে রেখে কিছু মানুষ জীবিকা অর্জন করে থাকেন ?
ফিরে যাই ২০০৮ সালে, ৩রা অক্টোবর দুর্গাপুজোর চতুর্থীর দিনের কথা মাননীয়ার ক্রমাগত আন্দোলনের চাপে শেষমেশ রতন টাটা বাংলা থেকে ফিরে গেলেন।
৪ ঠা অক্টোবর, পঞ্চমীর দিন মাননীয়া পৌঁছে গেলেন সিঙ্গুরে, শিল্প তাড়ানোর আন্দোলনের “সাফল্য” উদযাপন করলেন। মাননীয়ার সেই সাফল্য বাংলার যুব সমাজের উপরে সেই যে অভিশাপ নেমে এলো, আজও সেই অভিশাপের শাপমোচন ঘটেনি।
দু’বারই পূজো ছিল কিন্তু, মাননীয়া আন্দোলন বন্ধ না করে আরো তীব্র করেছিলেন সেই আন্দোলন কে। মাননীয়ার সাথে ছিল প্রতিক্রিয়াশীল চক্র !!
১৬, ১৭ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে ২০১১ সাল থেকে চলছে মাননীয়ার শাসন কাল, এবার কিন্ত ডাক্তার থেকে সাধারণ ঘরের মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য লড়াই চলছে। লড়াই চলছে “রেপ কালচার”, “থ্রেট কালচার” এর বিরুদ্ধে, “স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দূর্নীতি”র বিরুদ্ধে, “টুকে পাশ করা ডাক্তার” দের বিরুদ্ধে, বিদ্রোহ চলছে “তিলোত্তমা” কে সঠিক বিচার পাইয়ে দিতে।
এই আন্দোলন কোন স্বার্থ সিদ্ধী কায়েম করার আন্দোলন নয়।
সংগৃহীত