সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: পাথরপ্রতিমা :: রবিবার ১৮,মে :: মৎস্য দপ্তরের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একশ্রেণীর মানুষেরা মৎস্য শিকারে মেতে উঠেছে। মৎস্য দপ্তর থেকে ৯০ দিনের জন্য সমুদ্র ও নদীতে মাছ ধরা উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মূলত মাছেদের প্রজননের জন্য প্রতিবছর মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এপ্রিল মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে এবং নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
কিন্তু একশ্রেণীর মৎস্যজীবীরা সরকারি এই নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত তোয়াক্কা না করে গভীর সমুদ্রে কিংবা নদীতে মাছ ধরার কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যায়। এবার এলাকারই মৎস্যজীবীদের হাতে মাছ ভর্তির ট্রলার আটক।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। শনিবার রাতে পাথরপ্রতিমা ব্রজ বল্লভপুর এলাকায় গোবিন্দপুরের কার্জন ক্লিক নদীতে মাছ ভর্তি ট্রলার আটক করে এলাকার মৎস্যজীবীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে একটি ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরে পাথরপ্রতিমার গোবিন্দপুর এলাকার মৎস্য বন্দরে ফিরছিল সেই সময় স্থানীয় মৎস্যজীবীরা ও এলাকাবাসীরা ওই ট্রলারটিকে আটক করে। উদ্ধার হয় প্রচুর মাছ।
রানী মা নামক ট্রলারের মালিক রাম শংকর খাটুয়া জানান, বেশ কয়েকজন আমার এই ট্রলার টিকে ভাড়া করে। মাছ অন্যত্র দিয়া আসার জন্য । আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। গ্রামের মৎস্যজীবীরা ট্রলার নিয়ে গিয়ে আমাদের ট্রলার টিকে আটক করে ট্রলারে বেশ কিছু কর্মীদেরকেও মারধর করে গ্রামবাসীরা।
আহত কর্মীদেরকে চিকিৎসা করানোর জন্য কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা। পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ট্রলার মালিককে আটক করেছে।