সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সুন্দরবন :: সরকারি নির্দেশ পাবার পর বন্ধ হয়ে গেছে সুন্দরবনের পর্যটন। সুন্দরবন বন্ধ হওয়ার কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে হোটেল লঞ্চ বোট সহ এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কয়েক লক্ষ মানুষ। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ঘাটে ফিরতে শুরু করেছেন লঞ্চ বোট। সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার। আর তাই সুন্দরবনও বন্ধ হয়ে গেল সোমবার থেকে। সুন্দরবন বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতির মুখে পড়লেন এই সমস্ত মানুষজন।
ইতিমধ্যেই সমস্ত লঞ্চের পর্যটকরা ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে। ট্যুর ক্যান্সেল করেছেন সমস্ত ভ্রমণপিপাসু মানুষরা। সমস্ত হোটেল খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকেও। সবমিলিয়ে সুন্দরবন ট্যুর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েক লক্ষ মানুষ আজ দিশেহারা। কিভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে বুঝতে পারছে না তারাও।
সরকারের কাছে তাদের আরজি অন্তত ৫০% যাত্রী নিয়ে শুরু হোক লঞ্চ বোটের মত ভ্রমণ পরিষেবাগুলি। আর তার ফলে বাঁচবে সুন্দরবন ট্যুর ব্যবসা। করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকার কারণেই রবিবার নবান্ন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র গুলি বন্ধ রাখার।
আর তার পরবর্তী সময়ে এই সিদ্ধান্তে মাথা হাত ব্যবসায়ীদের। সুন্দরবন ব্যবসা চলে মূলত নভেম্বর ডিসেম্বর জানুয়ারি মাস জুড়ে। তিন মাসের এই ইনকাম এর উপর সারা বছর নির্ভর করতে হয় সমস্ত লঞ্চ বোট চালকদের। মাতলা নদীতে এদিন দেখা গেল সেই চিত্র লাইন দিয়ে লঞ্চ ফিরে আসছে।
বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু জানান সরকারি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে জোরকদমে কো ভি ড বিধিকে কার্যকরী করতে প্রচার চলছে বারুইপুর পুলিশ জেলার প্রত্যেকটি থানাতে।*