সাঁতারে দ্রোণাচার্য পুরস্কার প্রাপ্ত তপন প্রাণিগ্রাহী মহিষাদলকে স্পোর্টস সিটি হিসাবে গড়তে চান

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ ::মহিষাদল :: গত ১৩ ই নভেম্বর শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে রাষ্ট্রপতি সাঁতারের কোচ মহিষাদলের তপন প্রাণিগ্রাহীকে দ্রোণাচার্য পুরস্কারে সম্মানিত করেন। তার পর ২৭ নভেম্বর শনিবার মহিষাদলের মাটিতে পা রাখেন তপনবাবু। মহিষাদলের মাটিতে পা রাখতেই শঙখ ধ্বনি, আতাসবাজি ফাটিয়ে স্বগত জানান মহিষাদলবাসি। পুষ্পবৃষ্টি ও ফুলের মালা পরিয়ে মহিষাদল সিনেমা মোড় থেকে মহিষাদল বাজার পরিক্রমা করে মহিষাদল শহীদ বেদিতে যায়।

সেখানে শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন তপনবাবু। তার পর তাঁহার বাসভবনে যান। সেখানেও মহিষাদল মানুষ একে একে সংবর্ধিত করেন। তপনবাবুর আগমনের বিশেষ মুহুর্তের স্বাক্ষী থাকরে মহিষাদলের ৮ থেকে ৮০ সব বয়সের মানুষজন হাজির ছিলেন। এদিন তপনবাবু, তাঁর এই সম্মানের জন্য গর্ববোধ করেন। আগামী দিনে মহিষাদলকে স্পোর্টস সিটি হিসাবে গড়তে চান।

ভারত সরকারের দেওয়া ‘ দ্রোণাচার্য ’ ( লাইফ টাইম ) অ্যাওয়ার্ড পান বিখ্যাত সাঁতার প্রশিক্ষক পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের বাসিন্দা তপন কুমার পানিগ্রাহী । এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে তিনিই কেবল এই সম্মান পেয়েছেন । এই পুরস্কার পাওয়ায় খুশি ক্রীড়া মহল,খুশি মহিষাদলবাসী।

তপনবাবু মহিষাদল রাজ হাইস্কুলে পড়া কালিন আন্ত : স্কুল সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলেন । সালটা তখন ১৯৭৪ । সেই যে সাফল্য , তারপর তাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি । রাজ্য এবং এবং জাতীয় স্তরে বহু সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি ।

১৯৯১ সালে স্পোর্টস অথোরিটি অফ ইণ্ডিয়ার গুজরাটের গান্ধীনগর কমপ্লেক্সে সাঁতার প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি । পরে সংস্থার দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রের পঞ্চভেলি সাই কমপ্লেক্সে সাঁতার প্রশিক্ষক ছিলেন । অনন্যা পানিগ্রাহী , কোমল আথারে , প্রশান্ত কর্মকার , পুলকিত কুমারদের মতো প্রতিষ্ঠিত নামি সাঁতারু তাঁর হাতে তৈরি । এমন প্রশিক্ষণ পর্বে জাতীয় স্তরে আড়াইশো এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ষাট জন প্রতিভাবান সাঁতারুকে তিনি তালিম দিয়েছেন । আর এত কিছুর জন্য তাঁর স্বীকৃতি সম্মানের তালিকাও বেশ লম্বা ।

২০০৪ সালে সাই – এর সেরা কোচ পুরস্কার , ২০১২ মহারাষ্ট্র সরকারের ছত্রপতি শিবাজী পুরস্কার , ২০১৮ ফিজিক্যাল এডুকেশন ফাউন্ডেশন অফ ইণ্ডিয়ার বেস্ট কোচ পুরস্কার পেয়েছেন । স্পোর্টিস প্রমোশন ২০২০ ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত এই বঙ্গসন্তান ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + three =