সাগরে ভাঙ্গন কবলিত নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে এসে বিক্ষোভের মুখে বিজেপি নেত্রী অবশেষে পরিদর্শন।

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সাগর :: সুন্দরবন :: সংবাদ প্রবাহ ::  পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার একের পর এক নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। নোনা জল প্রবেশ করে নষ্ট হয়েছে বিঘের পর বিঘে চাষের জমি। গুরু পূর্ণিমার ভরা কোটালের জোয়ারের তোরে সাগর বিধানসভার একাধিক নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে এলাকা। সাগর বিধানসভার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বঙ্কিম নগর। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর বিধানসভার বঙ্কিম নগরে ভাঙ্গন কবলিত নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে আসেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়িকা তথা রাজ্য বিজেপির সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পল। কাকদ্বীপের লট নম্বর ৮ থেকে জলপথে পাড়ি দেয় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি পৌঁছায় সাগরের বঙ্কিমনগরের ভাঙ্গন কবলিত নদী বাঁধের কাছে। এরপর নাটকীয় ভাবে বিজেপির নেত্রীর রাস্তা অবরোধ করে কালো পতাকা দেখায় ও “গ্লোব্যাক স্লোগান”তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের। ভাঙ্গন কবলিত নদী বাঁধের কাছে যেতে বাধা দেয়া হয় বিজেপি নেত্রীকে। মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় সাগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় বিক্ষোভকারীরা।এমন কি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। শেষমেষ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করে বিজেপি নেত্রী। এরপর ভাঙ্গন কবলিত নদী বাঁধ পরিদর্শন বিজেপি নেত্রী। উপস্থিত হয় ধসপাড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান বিপিন পড়ুয়া।তিনি বিজেপি নেত্রীকে প্রশ্ন করেন কেন্দ্র কে রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। দীর্ঘদিন ধরে নদী বাঁধ। বিজেপি নেতৃত্বিক পাল্টা উত্তর , কাজের হিসাব না দিলে কোন টাকা দেবে না কেন্দ্র সরকার।নদী বাঁধ পরিদর্শনের পর বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেন, প্রতিবছর নদী বাঁধ নির্মাণের জন্য কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য সেই টাকার সঠিক ব্যবহার করছে না। কেন্দ্রের টাকায় যৎসামান্য মাটির নদী বাঁধ সংস্কার করে বেশিরভাগ টাকা তৃণমূলের নেতাদের পকেটে চলে যাচ্ছে। এতদিন ধরে যে পরিমাণ টাকা কিন্তু রাজ্য সরকারকে দিয়েছে তাতে ভালোভাবে কংক্রিটের স্থায়ী নদী বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব ছিল। স্থানীয় উপপ্রধান বলেন, প্রতিবছর নদীর জলে প্লাবিত হয় গোটা এলাকা। স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধই একমাত্র সমাধান সূত্র। আমি চাই কিন্তু ও রাজ্য যৌথভাবে নদীবাঁধ নির্মাণ এগিয়ে আসুক। তাতে এলাকার মানুষ বাঁচবে। এই এখন বড় প্রশ্ন সাগর বাসীর দুঃখের দিন কবে কাটবে। সাগরের স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ কবে হবে? এটাই এখন দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × two =