সাগর ব্লকের চৌরঙ্গী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে পালিত হচ্ছে জল বাঁচাও দিবস-জল বাঁচান, জীবন বাঁচান ।

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: দক্ষিণ ২৪ পরগনা :: ১২ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে ভুগর্ভস্থ পানীয় জল অপচয় রোধে জনসচেতনতার লক্ষে সাগর ব্লকের চৌরঙ্গী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে পালিত হচ্ছে জল বাঁচাও দিবস।জল বাঁচান, জীবন বাঁচান ।

প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্ব জল দিবস পালনের পাশাপাশি আমাদের রাজ্যে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক বছর ১২ জুলাই “জল সংরক্ষণ দিবস” হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

ভূগর্ভস্থ জল অদৃশ্যকে দৃশ্য মান করা এই থিমটিকে সামনে রেখে মঙ্গলবার সাগরের চৌরঙ্গী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে জল সংরক্ষণ করো,জল ধরো।জল অপচয় বন্ধকরো।এই স্লোগানের মাধ্যমে ১২ মার্চ পালিত হলো জল সংরক্ষন দিবস।

সেচের জন্য ব্যবহৃত সমস্ত জলের প্রায় ৪০ % জলজ থেকে আসে। এছাড়াও, পৃথিবীর প্রায় সব তরল স্বাদু জলই ভূগর্ভস্থ জল। আমরা জানি যে জল জীবনের জন্য অপরিহার্য, জল ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। মানুষের প্রাপ্তবয়স্ক শরীরের ৬০% পর্যন্ত জল। সব উদ্ভিদ ও প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য জলের প্রয়োজন।

জল সংরক্ষন দিবস পালিত হয় বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বার্তা বিতরণ করে, বিশুদ্ধ জলের গুরুত্ব এবং রক্ষণশীল ব্যবস্থা, ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে শিক্ষামূলক সামাজিক সচেতনতা। যা জল চক্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

এবারের অর্থাৎ ২০২২ সালের জল সংরক্ষণ দিবসের থিম হল “ভূগর্ভস্থ জল: অদৃশ্যকে দৃশ্যমান করা”। জলের মূল্যায়ন মধ্যে দিয়ে জলের গুরুত্ব ও ব্যবহার বোঝা দরকার। বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক তাপস মণ্ডল বলেন দিন দিন জল সংকট তীব্রতর হচ্ছে সারা পৃথিবী জুড়ে । ভারতের ২১ টি শহরে পানীয় জলের অভাব ভীষন ভাবে বেড়ে চলেছে। মাটির নীচে জলস্তর নেমে যাচ্ছে।

চড়া দামে এই গরমে জল কিনতে হচ্ছে। দু’দিন পরে হয়ত তাও মিলবে না।তাই জল একদম অপচয় করবেন না।যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ব্যবহার করুন।চাষের কাজে ভূপৃষ্ঠের জল কাজে লাগান।মাটির তলার জল শুধু পানীয় হিসেবে তুলতে হবে।

এই ভান্ডার খুব সীমিত। জলকে আমরা বিভিন্ন ভাবে দূষিত করে ফেলছি।এটা বন্ধ করতেই হবে। দূষিত জলের জন্য অসুখ বিসুখ বাড়ছে।

জল সংরক্ষণের জন্য আমাদের ভাবতেই হবে। মনে রাখবেন পৃথিবীতে ১৮ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে দূষিত জল, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে। গ্রামীণ এলাকায় শতকরা ৬০-৬৫ ভাগ রোগের কারণই অপর্যাপ্ত ও দূষিত জলের ব্যবহার।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক তাপস মণ্ডল বলেন পরিবেশের মধ্যে যতগুলি উপাদান আছে তার মধ্যে জল অন্যতম উপাদান।

মানুষ তথা সকল জীব, উদ্ভিদের ইত্যাদি, জীবন রক্ষায় জলের অপরিসীম গুরুত্বের জন্য, জলের অপর নাম জীবন! মানুষের অসচেতনার জন্য সেই জীবন আজ মহাসংকটে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − nine =