সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: কাকদ্বীপ :: শুক্রবার ৯,জুন :: গত শুক্রবার উড়িষ্যার ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। এখনো পর্যন্ত বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে ।
দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে সাতটা দিন সাত দিন পরে কাকদ্বীপের মধুসূদন পুরের বাসিন্দা শামসুল হুদা শেখ (৩০) এর পচা গলা দেহ এলো কাকদ্বীপে।
পরিবারের হাল ফেরাতে কাকদ্বীপ বিধানসভার অন্তর্গত মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৪ নম্বর এলাকার বাসিন্দা শামসুল হুদা শেখ শুক্রবার অভিশপ্ত করমন্ডল এক্সপ্রেস করে কাজের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছিল কেরালায়।
ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় প্রায় ৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজ থাকার কারণে শেখ পরিবারের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা গিয়েছিল।
পরিবারের একমাত্র রোজগের এ জীবিত রয়েছে কিনা তা নিয়ে উৎকণ্টার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল পরিবারের লোকজনেরা। দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কাজ চালায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই উদ্ধার কাজ চলে। উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি মৃতদেহ। এই মৃতদেহ গুলির মধ্যে ছিল কাকদ্বীপের শামসুল হুদা শেখ।
মৃতদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে মৃতদের ময়না তদন্ত হয়। পরিবারের এক আত্মীয় তিনি বলেন,কেরালায় রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজে যাচ্ছিল কাকদ্বীপের মধুসূদন পুরের বাসিন্দা বছর তিরিশের শামসুদ হুদা শেখ।
শুক্রবার রাতে আমরা খবর পাই। যে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা গ্রস্থ হয়েছে । এই দুর্ঘটনার পর আমরা চিন্তিত ছিলাম।
একে একে করমন্ডল এক্সপ্রেস এর বগি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারীরা। বেশ কয়েকদিন ধরেই উদ্ধার কার্য চলছিল। এই ঘটনার পর থেকেই পরিবারের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি শামসুলের । আমরা অনেক চিন্তিত ছিলাম। বহুদিন নিখোঁজ ছিল শামসুল।
অবশেষে উদ্ধারকারী দল মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে শামসুল কে। উড়িষ্যার প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে অবশেষে বৃহস্পতিবার মৃতদেহ এসে পৌঁছায় কাকদ্বীপে।