নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ক্যানিং :: শুক্রবার ১৫,ডিসেম্বর :: রাতের ট্রেনে মহিলা কামরায় ডিউটি করার সময় ট্রেনের মধ্যেই নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক জিআরপি কনস্টেবল। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৩০ নাগাদ পালসিট স্টেশনে হাওড়া-বর্ধমান লাস্ট লোকাল ট্রেনে। মৃত কনস্টেবলের নাম শুভংকর সাধুখাঁ তিনি বর্ধমান শহরের শাখারিপুকুর এলাকায় এক ভাড়া বাড়িতে থাকতেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
দেহ শুক্রবার ময়নাতদন্ত জন্য পাঠানো হলো বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।ঠিক কি কারণে এই আত্মহত্যা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান জিআরপি থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। যদিও এই বিষয়ে মৃত শুভঙ্কর সাধুখার মা আরতি সাধুখাঁ বলেন ছেলেকে সবসময় অত্যাচার করতো শ্বাশুড়ি ও বৌমা মিলে।
বৌমা শুধু সন্দেহ করতো ছেলেকে ছেলে অন্য কারও সাথে সম্পর্ক আছে কিনা। বৌমা ও শাশুড়ির অত্যাচারে ছেলের মৃত্যু হয়েছে ।পরিবার সূত্রে আরও জানা যায় মৃত শুভঙ্কর সাধুখার ৮বছরের এক সন্তান রয়েছে,তারা দুভাই ।ছোটো ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।জিআরপি সূত্রে জানা যায়, মৃত ব্যক্তি বর্ধমান জিআরপি থানায় কর্তব্যরত ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে মৃত ব্যক্তির একটি মানি পার্স উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া রিভলভারে পাঁচটি গুলি ভর্তি ছিল। একটি গুলি ট্রেনের কামরার দেওয়ালে গেঁথে যাওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে ট্রেনটি ব্যান্ডেল এর দিক থেকে বর্ধমান আসছিলেন সেই ট্রেনে কনস্টেবল শুভংকর সাধুখাঁর সঙ্গে সুজিত ভৌমিক নামে আরো একজন কর্তব্যরত ছিলেন।
তাদের তালান্ডু থেকে বর্ধমান ডিউটি ছিল বলে জিআরপি সূত্রে জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে রাতের শেষ ট্রেনে সুরক্ষায় থাকা প্রায় ফাঁকা কামরায় নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে এক কনস্টেবলের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় রহস্য তৈরি হয়েছে।