নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: ঘটনাটি গতকালের। নিম্নচাপ ও বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগেথেকেই, সেইমত গতকাল সকালে এক-দু বার বৃষ্টিও হয়েছিল।প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যে ট্রাফিক সচল রাখতে বেহালা ট্রাম ডিপোর সামনে ব্যস্ত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট অশোক মিস্ত্রি ও কনস্টেবল সুব্রত ব্রহ্মচারী। সবই ঠিক ছিল, সকাল গড়িয়ে দুপুর ১২টা, হঠাৎকিছু মানুষের কোলাহল কানে আসে সার্জেন্ট অশোক মিস্ত্রির, মাথা ঘুরিয়ে দেখেন বেহালা ট্রাম ডিপোর সামনে কয়েকজন পথচলতি উদ্বিগ্ন মানুষ কিছু একটা ঘিরে জটলা করেছে।
দ্রুত পা চালিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখেন একজন গর্ভবতী ভদ্রমহিলা যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন। মহিলাকে ঘিরে থাকা উদ্বিগ্ন মানুষগুলোর মধ্যে একজন বলে উঠেছিলেন, এই ভদ্রমহিলা হেঁটে যেতেযেত হঠাৎ পেটে হাত দিয়ে বসে পড়েন এবং যন্ত্রনায় কাতরাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি দেখে সার্জেন্ট অশোক মিস্ত্রিও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন, কিন্তু নিজেকে সামলে নেন, কারণ, জানতেন ওই মুহূর্তে ঠান্ডা মাথায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই দরকার। সার্জেন্ট অশোক মিস্ত্রি দ্রুত যোগাযোগ করেন বিদ্যাসাগর হাসপাতালের সঙ্গে এবং তাদেরকে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ব্যবস্থা করেন একটি অ্যাম্বুলেন্সের।
কনস্টেবল সুব্রত ব্রহ্মচারী ভদ্রমহিলাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যান বিদ্যাসাগর হাসপাতালে।ডাক্তারবাবু জানান ভদ্রমহিলা প্রসব যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সয়াহতায় ভদ্রমহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় । ওদিকে সার্জেন্ট অশোক মিস্ত্রি একাই ট্রাফিক সামলাচ্ছিলেন, ফোন বেজে ওঠে, ফোনের ওপার থেকে কনস্টেবল সুব্রত ব্রহ্মচারী, জানান ভদ্রমহিলা এক সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, মা ও শিশু দুজনেই ভালো আছেন । সার্জেন্ট অশোক মিস্ত্রি ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার আগে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে একবার মা ও শিশুকে দেখেও আসেন।