নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: সাঁকরাইল :: মঙ্গলবার ৯,জুলাই :: সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত কান্দুয়ার ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন সেপাই তার মেয়ের বিয়ে নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। কিছুদিন আগে স্ত্রী রাগ করে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে নিজের বাপের বাড়ি চলে যান। গতকাল সন্ধ্যায় সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে একটি সালিশি সভা ডাকা হয়।
শাহাবুদ্দিন সেপাই জানান সেই সময় পাঁচলার জুজুরসাহা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ খলিল আহমেদের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক আসে। তারা আলোচনার পর শাহাবুদ্দিনকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর খলিল ফোন করে তার দলবল ডাকে। সেই সময় ঘটনাস্থলে দুটি ম্যাটাডোর এবং ৫০ টি বাইকে করে প্রায় ১৫০ ছেলে ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়।
তাদের অধিকাংশের হাতে লাঠি, রড, ছুরি এবং ভোজালি ছিল বলে অভিযোগ। তারা ওই বাড়ি চড়াও হয়ে হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কান্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য আরিফ সেপাই। তিনি জানান মীমাংসা করার নামে যে এরকম ঘটনা ঘটাবে খলিল ও তার দলবল সেটা বোঝা যায়নি।তিনিও ভয়ে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় শাহাবুদ্দিন।
এরপর হামলাকারীরা কিছুটা দূরে তার ভাইপোর বাড়িতে পৌঁছায়। শাহাবুদ্দিন সেই বাড়িতে লুকিয়ে আছেন এই সন্দেহে সেই বাড়িতেও ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হামলাকারীরা। আলমারি ভেঙে চল্লিশ হাজার টাকা নগদ, সোনার গয়না এবং দামি মোবাইল সেট সহ যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এর আগে একাধিকবার বিভিন্ন ঘটনায় খলিল আহমেদের বিরুদ্ধে একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে।