সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ডায়মন্ড হারবার :: শিয়রে পুর নির্বাচন। ভোট যুদ্ধে নেমে পড়েছে শাসক থেকে বিরোধী দলের প্রার্থীরা। ডায়মন্ড হারবারে পুর নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থীদের হয় প্রচারে এসে একযোগে শাসক দলকে বিধলেন সিপিএমের বর্ষিয়ান নেতা তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিপিএমের সম্পাদক শমীক লাহিড়ী ।
সিপিএম এর বর্ষিয়ান নেতা শমীক লাহিড়ী বলেন,”আমি ঠিক করে দেবো আমার পর কে হবে মুখ্যমন্ত্রী ,যেমন রানী ঠিক করে দিচ্ছে রাজা কে হবে”। মানুষের গণতন্ত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে না ।বিরোধী বলে কাউকে রাখা যাবেনা ।কেউ যদি রানীর বিরোধিতা করে হামলা করো মামলা করো। যদি এরকম চলে তাহলে লিখে দিন আপনারা ২০১১ সালের পর রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবর্তে রানী তন্ত্র এখানে তৈরি হয়েছে । এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী কে আক্রমণ করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় শ্রমিক লাহিড়ী বলেন এটি একটি নৃশংস ঘটনা। এই নৃশংসতার নাম গণতন্ত্র হতে পারেনা ।তৃণমূল চুরি করলে তার প্রতিবাদ করলে খুন করে দেব অথবা মিথ্যে মামলা করে দেবে। আমরাও ৩৪ বছর সরকারের ছিলাম কত পুরসভা পঞ্চায়েত বিরোধীরা চালিয়েছে কিন্তু কখনো নির্বাচন আটকাইনি ।কারো বিরুদ্ধে কোন মিথ্যে মামলা করা হয়নি।
পুরসভার নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন বজবজের মনোনয়ন করতে না দেওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ শঙ্কিত ।তবে কোথাও বামফ্রন্ট কর্মীরা আতঙ্কিত নয়। তারা বুক চিতিয়ে লড়ছে। বিরোধীরা ভোটারদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে তার অভিযোগ ।
সিপিএমের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ডায়মন্ড হারবারের প্রাক্তন প্রশাসক ও তৃণমূল প্রার্থী প্রণব দাস জানান, সিপিএমের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে ।এখনো পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবারে কোথাও কোনো সন্ত্রাস হয়নি ।গণতান্ত্রিক উপায়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছে সমস্ত বিরোধী দল। প্রচারেও কোনরকম বাঁধা কেউ দেয়নি। শমীক লাহিড়ী সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছেন।