নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বসিরহাট :: মঙ্গলবার ২৬,আগস্ট :: সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায় ২৪০ কিলো গাঁজা সহ গ্রেপ্তার তিন পাচারকারী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার পুলিশ মোহনপুর এলাকা থেকে সন্দেহভাজন একটি গাড়িকে আটক করে। ওই গাড়িটি আটক করে তল্লাশি চালিয়ে গাড়ির ভেতর থেকে প্রায় ২৭ কিলো গাঁজা উদ্ধার করে হাসনাবাদ থানার পুলিশ।
সঙ্গে সঙ্গে ওই গাড়িটিকে আটক করে ও গাঁজাসহ ওই গাড়িতে থাকা তিন জনকে আটক করে হাসনাবাদ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ দক্ষিণ ২৪ পরগণার জীবনতলা থানা এলাকার একটি ঔষধের দোকান থেকে আরো প্রায় ২১২ কিলো গাঁজা উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া মোট গাঁজার পরিমাণ প্রায় ২৪০ কিলো। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা।
ধৃতরা হলেন বাবলু মোল্লা যার বাড়ি ন্যাজাট থানার অন্তর্গত মঠবাড়ি এলাকায়, সুব্রত মন্ডল যার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণার জিবনতলা থানা এলাকায় ও শ্যাম কয়াল যার বাড়ি ন্যাজাট থানার বয়ারমারী এলাকায়।
এই তিন জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে তারা এই বিপুল পরিমাণে গাজা ধীরে ধীরে হাসনাবাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় মজুদ করছিল।
সঙ্গে সঙ্গে এই তিন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। পুলিশের অনুমান এই পাচার চক্রের সঙ্গে আরো অনেকে জড়িত রয়েছে। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো অনেক গাঁজা উদ্ধার হতে পারে বলেও অনুমান করছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডাঃ হোসেন মেহেদী রহমান একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “হাসনাবাদ থানার পুলিশ টহল দেওয়ার সময় একটি গাড়িকে সন্দেহবশত আটক করে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান হাসনাবাদের আইসি গোপাল বিশ্বাস ও হাসনাবাদ এসডিপিও ওমর ফারুখ মোল্লা। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ২৭ কিলো ৩০০ গ্রাম গাঁজা।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুনরায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জিবনতলা থেকে ২১২ কিলো ১০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। মোট উদ্ধার হওয়া গাজার পরিমাণ ২৩৯ কিলো ৪৮০ গ্রাম। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গাঁজাগুলি উড়িষ্যা থেকে এরাজ্যে ঢুকেছিল।”